সিলেট ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৫৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
সিলেটের গোয়াইনঘাটে প্রায় ১কোটি টাকার হেরোইন নিয়ে সেই ছাত্রদল নেতা লিটনসহ ৩জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় গোঠা উপজেলায় আলোচনার ঝড় বইছে নবাগত ওসি মোঃ আব্দুল আহাদকে নিয়ে।
সম্প্রতি ’ক্রাইম সিলেট’য়ে মাদক সম্রাট আব্দুল মালিক লিঠনের বিরুদ্ধে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্তু ওই সময় লিটনকে সেল্টার দিতেন গোয়াইনঘাটের সাবেক বিতর্কিত ওসি আব্দুল জলিল। যার ফলে সে আইনের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যেত। লিটন নিজেকে জামান গ্রুপের কর্মী হিসাবে পরিচয় দিয়ে ক্রাইম সিলেট এর সম্পাদককে বিভিন্ন হুমকিও প্রদান করে। এমনকি সংবাদ প্রকাশের পর তাকে ভালো মানুষ হিসাবে তাকে সিকৃতি দিয়ে তার পক্ষ নিয়ে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করানো হয়। কিন্তু বর্তমান ওসি আব্দুল আহাদের হাত থেকে শেষ রক্ষা হয়নি ওই মাদক সম্রাটের।
পুলিশ সূত্রে জানায়ায়, বুধবার (২৫সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে। গোয়াইনঘাট উপজেলাধীন জাফলং মোহাম্মদপুর এলাকার দুলাল মিয়ার বাড়ী থেকে। একটি স্কুল ব্যাগে ভর্তি বিভিন্ন রকমের কাপড়ের লেইস দিয়ে সেলাই করা হেরোইনের প্যাকেট এবং কসটেপ,সেইলাই মেশিনসহ বিপুল পরিমান সরঞ্জাদিসহ ৩জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। সিলেটের পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন পিপিএম’র দিক নির্দেশনায় এবং অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আহাদের স্বার্বিক তত্বাবদায়নে ইন্সপেক্টর তদন্ত হিল্লোল রায়,এসআই মুহিবুর রহমান,এসআই যিশু দত্ত, এসআই রাজিব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ১কেজি হেরোইনসহ ৩জনকে আটক করতে সক্ষম হন।
আটককৃতরা হলো পশ্চিম লাখের পাড় গ্রামের আব্দুস শহীদ’র পুত্র আব্দুল মালিক লিঠন(৩৫),গাইবান্ধা জেলার আলীরবাজার মাছের ভিটা গ্রামের আমজাদ হোসেনের পুত্র মাসুম আহমদ(২৯), ভাউরভাগ গ্রামের সুবল ব্যার্জির পুত্র সোহেল ব্যানার্জি(৩০)।
এলাকাবাসী জানান দীর্ঘদিন থেকে উপজেলার পর্যটন এলাকা জাফলংকে কেন্দ্র করে হেরোইন, ইয়াবা, মদ ফেন্সিডিল ব্যাবসা করে আসছে এই চক্রটি। বিভিন্ন সময় এলাকাবাসীরা দেখলেও এদের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না।
এব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আহাদ আটকদ্বয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,সিলেট’র পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন মাদক,হেরোইন,ফেননিডিলসহ সকল প্রকার অপরাধ দূরিকরনে স্বার্বক্ষনিক জিরো ট্রলারেন্সে রয়েছেন। আর তারই নির্দেশনায় গোয়াইনঘাটে নিয়মিত মাধক বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd