সিলেট ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:১৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি সীমান্ত এলাকার একটি গ্রামে গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামী ধরতে গিয়ে হামালার শিকার হয়েছে পুলিশ। পুলিশের উপর মরিচের গুড়া ছিটিয়ে প্রতিবন্ধকতা ও ডাকাতির গুজব ছড়িয়ে হামলা করা হয়েছে। হামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৪ সদস্য ও আসামী আব্দুর রহমানও আহত হয়েছেন।
আব্দুর রহমানকে গুরতর অবস্থাায় উদ্ধার করে সিলেট ওসামানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে সীমান্তের বাদেবাসা উত্তরপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, শুক্রবার রাত দেড়টায় উপজেলার বিছনাকান্দি সীমান্তের প্রত্যন্ত এলাকা বাদেবাসা গ্রামে প্রতারণা মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামী আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করতে অভিযান করে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
এএসআই সাইদুর রহমান ও এএসআই আব্দুল বারেকসহ একদল পুলিশ আব্দুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়। ওই সময় পুলিশ দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি করলে আব্দুর রহমানের স্ত্রী গুলজান বেগম ঘরের দরজা খুলে পানির সঙ্গে মরিচের গুড়া মিশিয়ে পুলিশের উপর নিক্ষেপ করেন। ওই সুযোগে আব্দুর রহমান পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে ধরে হাতকড়া পড়ায়। ওই সময় আব্দুর রহমান ও তার স্ত্রী চিৎকার চেঁচামেচির পাশাপাশি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করেন। তারা ডাকাত বলেও চিৎকার করেন। এতে আত্মীয় স্বজনসহ আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে পুলিশের উপর হামলা ও তাদের অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে রাত আড়াইটার দিকে এএসপি (সার্কেল) নজরুল ইসলাম, থানার ওসি আব্দুল আহাদসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থালে পৌছে পরিস্থিাতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহত পুলিশের এএসআই বারেক, কনস্টেবল জাকারিয়া, আব্দুল হালিম ও রুহুল আমিন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ বিষয়ে এএসপি নজরুল ইসলাম জানান, পুলিশের অভিযানকালে আসামী ও তার স্ত্রী প্রথমে নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। গ্রেফতারের পর বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার কারণে স্থাানীয় লোকজন জড়ো হয়ে পুলিশের উপর হামলা করে। পরে তারা ভুল বুঝতে পারে। তিনি জানান, আসামী আব্দুর রহমানকে উদ্ধার না করলে তাকে বাঁচানো যেতোনা। ধস্তাধস্তি করতে গিয়ে তার মাথায় আঘাত লেগেছে। আঘাতটি গুরুতর।
স্থানীয়রা জানান- থানার এএসআই বারেক আব্দুর রহমানের মাথায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আগাত করেন। তার এমন আগাতে আব্দুর রহমান মাটিতে পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা পুলিশের এমন কান্ড দেখে মসজিদের মাইকিং করেন। এরপর পুলিশ সদস্যরা আসামি আব্দুর রহমানকে নিয়ে থানায় যায়।
এ ঘটনায় থানার এএসআই সাইদুর রহমান বাদী হয়ে আব্দুর রহমান, তার স্ত্রী গুলজান বেগম ও একই গ্রামের জিলু মিয়াসহ বেশ কয়েক জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি আব্দুল আহাদ।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd