সিলেট ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:০২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯
গোয়াইনঘাট উপজেলার কান্দিগ্রামের মৃত নাছির উদ্দিনের ছেলে হোসেন আহমদ ( ৩০) কে জিম্মি করে একই গ্রামের গাবরু মিয়ার পুত্র তরিকুল বাহিনী ১ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে।
খবর পেয়ে সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো সালাহ উদ্দিন দুপুর ১টায় এএসআই, সুলেমান ও এএসআই মামুনুর রশীদকে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে প্রেরণ করেন।
এএসআই সুলেমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হোসেন আহমদকে হাত-পা বাধা অবস্থায় কান্দিগ্রামের তরিকুলের বসতঘর থেকে উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থল থেকে জড়িত কান্দিগ্রামের ওয়ারিছ আলীর ছেলে কবির উদ্দিন ও ভেড়া মিয়ার ছেলে আরফান আলীকে আটক করেন।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, কান্দিগ্রামের মৃত নাছির উদ্দীনের ছেলে হোসেন আহমদের কাছে সুদে ৫ হাজার টাকা ঋন দেয় গাবরু মিয়ার ছেলে তরিকুল। এই সুদের ৫ হাজার টাকার পরিবর্তে হোসেনের কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করে। এরই সূত্র ধরে শনিবার সকালে গ্রামের পূর্ব দিক থেকে তরিকুল ও তার সহযোগীরা হোসেনকে জোরপূর্বক ধরে মারধর করে নিয়ে যায় তার বাড়িতে। সেখানে নিয়ে তাকে সে এবং তার সহযোগীর বেধড়ক মারধর করে এবং হোসেনের আত্মীয় স্বজনের কাছে ১ লাখ টাকা মুক্তি পন দাবি করে।
এব্যাপারে হোসেনের চাচা মাওলানা আবদুল খালিক সংবাদকর্মীদের বলেন, কান্দগ্রামের গাবরু মিয়ার ছেলে তরিকুল এই গ্রামে একটি বাহিনী গড়ে তুলেছে। অন্যায় অত্যাচার,জুলুম পরিচলনা এই গ্রামে দীর্ঘদিন থেকে চালিয়ে যাচ্ছে। তার গোষ্ঠী বড় থাকায় মানুষ ভয়ে মুখ খুলছেন না। তার গড়া বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে রয়েছে আকবর আলীর ছেলে তাজ উদ্দিন, তৈয়ব আলীর ছেলে সাঈদ মিয়া,ওয়াছির আলীর ছেলে কবির উদ্দিন, ভেড়া মিয়ার ছেলে আরফান আলীসহ আরো ১০/১৫জন। ইতিপূর্বে তরিকুল বেশকটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়েছে। তার মধ্যে ১০ হাজার টাকা সুদে দিয়ে ৫০ হাজার টাকা এভাবেই জিম্মি করে আদায় করেছে।
তিনি জানান, এছাড়া সুদে টাকা দিয়ে বহু মানুষকে বাড়ি ছাড়া করেছে তরিকুল। কান্দিগ্রামের মাদক ব্যাবসায়ীদের পুঁজি দিয়ে সে দীর্ঘদিন থেকে মাদক ব্যাবসা পরিচালনা করছে। যে বিষয়টি কান্দিগ্রাম গ্রামবাসী ভালো করে জানেন। সর্বশেষ শনিবার সকালে আমার ভাতিজা হোসেনকে গ্রামের পূর্ব দিক থেকে ধরে নিয়ে যায় তরিকুল ও তার সহযোগীরা। খবর পেয়ে আমি তরিকুলের বাড়ীতে গেলে তরিকুল ও তার সহযোগীরা আমাকে মারধর করে। পরে আমি সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে আমার ভাতিজা হোসেনকে উদ্ধার করেন এবং দুইজন আসামি আটক করেন।
এব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো আব্দুল আহাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd