সিলেট ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯
ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে সরিয়ে কোন্ আইনে ভারপ্রাপ্তদের দায়িত্ব দেয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির সিরিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। অভিযোগ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আইন লঙ্ঘন করে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে অপসারণ করেছেন।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া আওয়ামী লীগের সংশোধিত চূড়ান্ত গঠনতন্ত্রের ২৫ (১) ধারা অনুযায়ী ছাত্রলীগ তাদের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন মাত্র। আরপিও অনুযায়ী ছাত্রলীগ স্বাধীন ও স্বতন্ত্র সংগঠন। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রেও একই কথাই বলা আছে। সে অনুযায়ী আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ছাত্রলীগকে কোনো আদেশ-নির্দেশ দেয়া বা তাদের ওপর হস্তক্ষেপ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। তারা কেবল পরামর্শ দেয়ার অধিকার রাখেন। কিন্তু আমরা কী দেখলাম। আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকে গঠনতন্ত্র ও গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ লংঘন করে দলটি জোর করে (বাই ফোর্স) ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পদচ্যুৎ করে। এটা কোন্ এখতিয়ার বলে তারা করেছেন?
রিজভী বলেন, আদালত এ ক্ষেত্রে কী কোনো জুটিশিয়াল নোটিশ প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট আওয়ামী নেতাদের পাঠাতে পারবেন? অথচ ছাত্রদলের কাউন্সিলের ওপর আদালত একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। ছাত্রদলের কাউন্সিলে মামলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনে ৪০/৪১/৪২ ধারা অনুযায়ী মামলাটি মেইন্টেনেবল নয়। এর আগে উচ্চতর আদালতের আদেশ অনুযায়ী কোনো রাজনৈতিক দলের বিষয়ে আদালতের কিছু করার নেই। এটি ফ্যাসিবাদী শাসনের আরেকটি দৃষ্টান্ত।
রিজভী আরও বলেন, ছাত্রলীগের দুই নেতাকে অপসারণের পর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন- বাংলাদেশে এ প্রথম শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে এবং বাধ্যতামূলক পদত্যাগ করানো হয়েছে। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা নিজেই ছাত্রলীগের বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও দেখভাল করছেন। ছাত্রলীগের পরবর্তী সম্মেলন সম্পন্ন করতে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি। এতে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ হয়- নিয়ম-নীতি, বিধি-বিধান ও আইন-কানুন সব লংঘন করে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে ঢাকঢোল পিটিয়ে হুমকি-ধামকি দিয়ে ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রণ করছেন। তাদের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। এতে কি আরপিও ভঙ্গ হয় না?
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব-উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আবদুল আউয়াল খান, শেখ মো. শামীম, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd