গাঁজা ও সেবন বিক্রির নিরাপদ স্থান এখন সিলেটের ক্বীনব্রিজ

প্রকাশিত: ৬:০৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯

গাঁজা ও সেবন বিক্রির নিরাপদ স্থান এখন সিলেটের ক্বীনব্রিজ

Manual8 Ad Code

সিলেট মহানগরের কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের নাকের ডগায় চলছে গাজা ব্যবসা। থানা থেকে অন্তত ২০০ গজের মধ্যে কিনব্রিজের নিচের এলাকাটি গাঁজা বেচাকেনার স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

Manual1 Ad Code

দিনরাতে এখানে গাঁজা বিক্রি ও সেবন করা হচ্ছে। তবে তা রোধে পুলিশ কার্যকর কোনো ভূমিকাই নিচ্ছে না বলে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ।

তবে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিঞা দাবি করেছেন, কিনব্রিজ এলাকায় গাঁজার কোনো হাট নেই। এখানে কিছু ভাসমান মানুষ গাঁজা সেবন করতে আসে।

Manual3 Ad Code

কিনব্রিজ এলাকায় রয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের মহড়াকক্ষ ও সুরমা নদীর দৃষ্টিনন্দন পাড়। মহড়াকক্ষে প্রতিদিনই কোনো না কোনো অনুষ্ঠান লেগে থাকে। অন্যদিকে বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত সৌন্দর্যপিপাসু নগরবাসী সুরমা নদীর পারে আড্ডা দিতে আসেন। অথচ কিনব্রিজ এলাকায় প্রতিদিনই গাঁজার গন্ধ বাতাসে ভেসে বেড়ায়। এ ছাড়া একই এলাকায় সিলেট সার্কিট হাউসের অবস্থান। সামান্য একটু দূরে সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় ও নগরের বৃহত্তর পাইকারি ব্যবসাস্থল কালীঘাট এলাকা অবস্থিত।

সিলেটের সংস্কৃতি অঙ্গনের নয়জন সংগঠক জানান, কোতোয়ালি মডেল থানার দেড় শ থেকে দুই শ গজ দূরে কিনব্রিজ এলাকার অবস্থান। এখানে প্রতিদিন অনেকটা প্রকাশ্যেই মাদকসেবীরা গাঁজা সংগ্রহ করে। রয়েছে মাদকসেবীদের উৎপাতও। পুলিশ মাঝেমধ্যে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের এ স্থান থেকে উঠিয়ে দেয়। গতকাল রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, কিনব্রিজের লোহার বেষ্টনীর বেশ কয়েকটি স্থানে বসে একাধিক তরুণ গাঁজাসহ নেশা দ্রব্য সেবন করছে।

সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজতকান্তি গুপ্ত বলেন, প্রচুরসংখ্যক নগরবাসী বিকেল থেকে এখানে অবসর কাটাতে আসেন। এ ছাড়া কিনব্রিজ এলাকায় সারদা হল-সংলগ্ন ভবনে নগরের দুটি প্রধান সম্মিলিত সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি কিছু সাংস্কৃতিক সংগঠনের মহড়াকক্ষও রয়েছে। অথচ স্থানটির পরিবেশ খুব একটা সুখকর নয়। সব সময়ই এখানে মাদকসেবীরা থাকে। এতে নগরের সচেতন বাসিন্দারা স্থানটিতে বিব্রত ও অস্বস্তিবোধ করে থাকেন।

মাদকসেবী ও স্থানীয় কয়েকজন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কিনব্রিজ এলাকায় সাধারণত নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী শ্রেণির মানুষেরাই মাদক কেনাবেচায় সম্পৃক্ত। এসব মাদকের ক্রেতা হচ্ছে রিকশা ও ট্রাকের চালক থেকে শুরু করে নগরের সাধারণ মানুষ। তবে এখানে গাঁজাই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। এর বাইরে মাঝেমধ্যে হেরোইন ও ইয়াবা বিক্রি হয়। দিনভরই এখানে মাদক বেচাকেনা হয়। এক দশক ধরে এ স্থানটিতে কমবেশি মাদক ব্যবসা চলে আসছে বলে তাঁরা নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কিনব্রিজ এলাকার আলী আমজদের ঘড়ির পাশেই কথা হয় একজন মাদকসেবীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কিনব্রিজ এলাকা থেকে আমি চার বছর ধরে গাঁজা সংগ্রহ করি।’ কোন মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গাঁজা সংগ্রহ করেন, জানতে চাইলে তিনি তা বলতে অস্বীকৃতি জানান। একজন গাঁজা ব্যবসায়ী জানান, তাঁদের ক্রেতাদের মধ্যে রিকশা ও ট্রাকচালকের সংখ্যাই বেশি।

Manual7 Ad Code

কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. সেলিম মিঞা বলেন, ‘পুলিশ প্রায়ই এই মাদকসেবীদের ধাওয়া দিয়ে উঠিয়ে দেয়, অভিযান চালায়। আমি নিজেও একাধিকবার গাঁজা সেবন বন্ধে এখানে অভিযান পরিচালনা করেছি। এখানে মাদক বেচাকেনা হয় না, কেবল গাঁজা সেবন করতে অনেকে এখানে আসে। পুলিশের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।’

Manual8 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

September 2019
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..