সিলেট ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৩৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
আগামীতে মামলার জালে ফেঁসে যাচ্ছে নার্সিং পেশার নিয়োগ ও রেজিষ্ট্রশন পরীক্ষা । কারন হিসাবে জানা যায়, উচ্চ আদালতে একাধিক মামলা চলমান থাকায় এবং মামলা গুলো নিষ্পাতি না হওয়া পর্যন্ত আগামীতে যে কোন ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে জঠিলতা সৃষ্ঠি হতে পারে। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিনে পাশকৃত ছাত্র ছাত্রীরা নার্সিং কাউন্সিল রেজিষ্ট্রেশন পরীক্ষার যোগ্য বলে বিবেচিত উচ্চ আদালত আদেশ দেন এবং ডিপ্লোমা ও বিএসসি পাশ কৃত নার্সগন এই রায়ের বিরোধিতা করে উচ্চ আদালতে রীট করেন যা আদালতে মামলাটি চলমান। বিগত দুই বছর যাবৎ রেজিষ্ট্রেশন পরীক্ষা নিতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে একাধিক সমাধানের চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ। অপর দিকে জেষ্ঠ্যতা, ব্যাচ ও মেধার ভিত্তিতে ২০০৬ হতে সরকারী নিয়োগ বঞ্চিত নার্সগনও উচ্চ আদালতে দারস্থ হয়েছেন। গত ২৫/০৮/২০১৯ ইং তারিথে হাইকোর্টের দৈত বেঞ্জ বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল হাসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের “কেন রীটকারীদের জেষ্ঠ্যতা, ব্যাচ ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ এবং ৩১শে ডিসেম্বর ২০২২সাল পর্যন্ত প্রার্থীর বয়স সীমা রাখা যাবে না” এই মর্মে রুল প্রদান করে আইন মন্ত্রনালযের সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কর্মকমিশন সচিবালযের মহাপরিচালক (স্বাস্থ্য) সহ সংশ্লিষ্ঠ নিয়োগ প্রদানকারী কর্তৃৃপক্ষকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলে জবাব দিতে বলা হয়েছে। গত ৯জুন এস এম মরিয়ম ছিদ্দিকা বদিী হয়ে উচ্চ আদালতে পিটিশন দাখিল করিলে দীর্ঘদিন শুনানি শেষে মহামন্য হাইকোর্ট গত ২৫/০৮/২০১৯ইং তারিখে এ রুল জারি করেন। সেক্ষেত্রে দেরিতে হলেও সুফল পেতে পারে নিয়োগ বঞ্চিত নার্সগন। কারন হিসাবে এসএম মরিয়ম সিদ্দিকা বলেন, স্বাধিনতার পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সাল পর্যন্ত আমাদের নিয়োগ পদ্ধতি স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের অধিনে জেষ্ঠতা, ব্যাচ ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়েছে এবং আমাদের শিক্ষা জীবনেও নিশ্চিত ছিলাম আমরা ২০১০ সাল পর্যন্ত পাশকৃত রেজিষ্টার্ড নার্সগন জেষ্ঠ্যতা, ব্যাচ ও মেধার ভিত্তিতে আমাদের নিয়োগ হবে। ২০১১সালে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সিনিয়র ষ্টার্ফ নার্সদেরকে ১০ম গ্রেডে উন্নত করে দ্বিতীয় শ্রেনীর নন ক্যাডার মর্যদা দেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে দুইবার জেষ্ঠ্যতা, ব্যাচ ও মেধার ভিত্তিতে প্রায় ৪৩০০জন (১৯৯৯-২০০৬ আংশিক) সিনিয়র স্টার্ফ নার্স অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেন সরকার। কিন্তু শূন্য পোষ্ট না থাকায় আমাদের পরবর্তী প্যানেলে রাখে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরবর্তীতে সরকার আমাদের জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ না দিয়ে বিপিএসসি মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করে যা আমরা নিয়োগ বঞ্চিত নার্সগন কিছুতেই মানতে পারি নি। তাই আমরা উচ্চ আদালতে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেছি এবং প্রপার ডকুমেন্ট দেখাতে সক্ষম হয়েছি বলে আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে রুল জারি করেন। আমি আশাবাদী শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও আমরা আদালতের মাধ্যমে লড়াই চালিয়ে যাব এবং আমার ও আমার সহযোদ্ধাদের স্বপ্ন নিশ্চত করবো। তিনি আরো বলেন আগামীতে নিয়োগ বিজ্ঞপি প্রকাশ করলে আমাদের জন্য সুবিধা হবে কারণ তখন আমরা আদালতে শূন্য পদের সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারবো। প্রার্থীর বয়স ৩০ কিংবা ৩৬ উল্রেখ থাকলে আমরা সার্কুলার ষ্ট্রে ওর্ডার চাইতে পারি কারন আদালত বয়স ২০২২ সাল পর্যন্ত বয়স উল্লেখ থাকবে না এই মর্মে রুল দিয়াছে। এককথায় বলি পরীক্ষা নয় অ্যাডহক ভিত্তিতে পিটিশনাদের নিযোগ না হওয়া পর্যন্ত এ মামলার নিষ্পত্তি সম্ভব হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd