আট বছর ধরে কলেজ না গিয়েও বেতন নিচ্ছেন এমপিপত্নী

প্রকাশিত: ১:৪৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯

আট বছর ধরে কলেজ না গিয়েও বেতন নিচ্ছেন এমপিপত্নী

Manual6 Ad Code

প্রায় আটক বছর ধরে কলেজে যান না রাজশাহীর বরেন্দ্র কলেজের সহকারী অধ্যাপক তসলিমা খাতুন।

Manual4 Ad Code

এই শিক্ষকের স্বামী রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।

Manual3 Ad Code

বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক বাদশা তিন মেয়াদে এই আসনের সংসদ সদস্য। দীর্ঘদিন এই কলজ পরিচালনা কমিটিতেও ছিলেন তিনি।

এরই সুযোগ নিয়েছেন এমপিপত্নী। কলেজে না গেলেও একজন নারীকে ক্লাস নেয়ার জন্য রেখেছেন তিনি। প্রতি মাসে নিয়মিত বেতন-ভাতা তুলে ওই নারীকে সামান্য অর্থ ধরিয়ে দেন  এমপিপত্নী।

এই শিক্ষকের এমন কাণ্ডে ক্ষুদ্ধ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও। তবে প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেন না।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে রাজশাহী বরেন্দ্র কলেজের এক শিক্ষক জানান, দীর্ঘ আট বছর যাবৎ কোনো ক্লাস নেন না তসলিমা খাতুন। ক্লাস নেয়ার জন্য তিনি মিমি নামের একজনকে ঠিক করে রেখেছেন। তসলিমার পরিবর্তে তার ক্লাসগুলো নেন মিমি। বিনিময়ে মিমিকে মাসে ৫/৬ হাজার টাকা দেন তসলিমা। মিমির শিক্ষক নিবন্ধন নেই বলেও জানান ওই শিক্ষক।

Manual8 Ad Code

তসলিমা এমপির স্ত্রী হওয়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ভয়ে কিছু বলে না। এমপি স্ত্রী হওয়ার দাপটে বছরের পর বছর এভাবেই বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছেন তসলিমা খাতুন।

বরেন্দ্র কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর ভাষ্য,  তারা ওই শিক্ষিকাকে নামেই চেনেন। কিন্তু কখনোই ক্লাসে পাননি।

নাম প্রকাশ না করে রাজশাহীর একজন প্রবীন কলেজ শিক্ষক বলেন, কোনো শিক্ষক ছুটিতে গেলে কলেজ কর্তৃপক্ষ তার ক্লাস নেয়ার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারেন। তবে তাকে নিবন্ধিত শিক্ষক হতে হবে। কিন্তু নিজে অনুপস্থিত থেকে একজন অনিবন্ধিত শিক্ষক দিয়ে ক্লাস নেয়ানো নিয়মবহির্ভূত।

তিনি আরও বলেন, কলেজে হাজির না হয়ে বেতন-ভাতা উত্তোলন অবৈধ। এমপি স্ত্রী তসলিমার খাতুন যদি সেটি করে থাকেন তবে তার বিরুদ্ধেও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেয়া হলে এ সুযোগ আরও অনেকেই নেয়ার চেষ্টা করবে। এতে শিক্ষা ব্যবস্থা কুলষিত হবে বলেও মনে করেন এই প্রবীন শিক্ষক।

Manual5 Ad Code

এ ব্যাপারে জানতে মুঠোফোনে অধ্যাপক তসলিমা খাতুনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে কলেজের অধ্যক্ষ আলমগীর মো. আব্দুল মালেক বলেন, সহকারী অধ্যাপক তাসলিমা খাতুন নিয়োমিত কলেজে আসতে পারেন না। আর এ জন্য তিনি একজনকে ঠিক করে দিয়েছেন তার ক্লাস নেয়ার জন্য। তবে মাঝে মধ্যে তিনি কলেজে আসলে নিজে ক্লাস নেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

September 2019
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..