জগন্নাথপুর সাবরেজিষ্টার অফিসে আইনের ছোট ফাকে বড় কারবার

প্রকাশিত: ১১:৪৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০১৯

জগন্নাথপুর সাবরেজিষ্টার অফিসে আইনের ছোট ফাকে বড় কারবার

Manual1 Ad Code

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর সাবরেজিষ্টার অফিসে আইনের ছোট ছোট ফাকফোকরকে কাজে লাগিয়ে বড় বড় কারবার করা হচ্ছে। শ্রেণি পরিবর্তনের অজুহাতে দামী জমিকে কম দাম দেখিয়ে অহরহ হচ্ছে দলিল রেজিষ্টার। এতে সরকার বড় অংশের রাজস্ব প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এসব ঘটনায় এলাকায় নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ২৫ আগষ্ট রোববার জগন্নাথপুর সাবরেজিষ্টার অফিসে একটি দলিল রেজিষ্টার হয়। দলিলের ক্রেতা হচ্ছেন দিরাই থানার কালিয়ারকাপন গ্রামের মৃত আবদুল মতলিবের ছেলে আবু জাহের। বিক্রেতারা হচ্ছেন জগন্নাথপুর পৌর এলাকার পূর্ব ভবানীপুর গ্রামের মৃত সৈয়দ উল্লার ছেলে আবদুল মছব্বির ও আবদুল আলী। মৌজা-ইকড়ছই, জেএল নং-১৭২ ও এসএ দাগ নং ৪২২ এ ২ শতক ৫৬ পয়েন্ট জায়গা মাত্র ২ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা মূল্য দেখিয়ে বিক্রি হয়। জগন্নাথপুর পৌর শহরের রাণীগঞ্জ রোডে হেলিপ্যাডের পাশে অবস্থিত দোকান ও কলোনী রকম জায়গাকে শুধু ভিটা বলে তথ্য গোপন করে দলিল রেজিষ্টার হয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, জগন্নাথপুর সাবরেজিষ্টার অফিসের তালিকা অনুযায়ী জগন্নাথপুর বাজারভিট জায়গা প্রতি শতক ১০ লক্ষ ৬৩৯৬ টাকা নির্ধারণ করা আছে। অথচ বাজারভিটকে শুধু ভিটা দেখিয়ে রেজিষ্টার করে সরকারের বড় অংকের রাজস্বকে ফাকি দেয়া হয়। সরকারি নির্ধারনকৃত মূল্য অনুযায়ী দলিল রেজিষ্ট্রি হলে ২ শতক ৫৬ পয়েন্ট জায়গার মূল্য প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা হয়। এতে ১০ ভাগ করে রেজিষ্ট্রি ফি হলে সরকার কমপক্ষে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা রাজস্ব পায়। অথচ এ জায়গার মূল্য মাত্র ২ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা দেখিয়ে সরকারের বড় অংকের রাজস্ব ফাকি দেয়া হয়েছে। তবে কি কারণে এবং কেন সরকারি বড় অংকের রাজস্ব ফাকি দেয়া হয়েছে, তা জানা সম্ভব হয়নি। এছাড়া গত ২৮/০৪/২০১৯ ইং তারিখে ৮৪৫ নং দলিল মূলে এ রকম আরেকটি মূলবান জমি কম মূল্য দেখিয়ে বিক্রি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ২৬ আগষ্ট সোমবার জগন্নাথপুর রেজিষ্টার শওকত হোসেন মোঃ আফি বলেন, এ জায়গা বাজারভিট নয়। শুধু ভিটা হিসেবে শ্রেণিভূক্ত আছে। যে কারণে ভিটা মূল্যের তালিকা অনুযায়ী উচ্চ মূল্য দেখিয়ে এ জায়গার দলিল রেজিষ্ট্রি করা হয়েছে। এতে সরকারি রাজস্ব ফাকি দেয়া হয়নি। তবে এখনো এ দলিল নং পড়েনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ জায়গা বাজার ভিট নাকি এবং এতে কোন প্রকার স্থাপনা আছে কিনা তা আমার জানার বিষয় নয়। তা জানে স্থানীয় তপশীল অফিস।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর ইউনিয়ন তপশীলদার নাজমুল হুদা বলেন, উক্ত জায়গা লায়েক পতিত হিসেবে শ্রেণিভূক্ত আছে। এখনো এসব মূল্যবান জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন হয়নি। যে কারণে আইনের ছোট ছোট ফাকে বড় বড় কারবার চলছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জায়গার শ্রেণি পরিবর্তনের কাজ করে সেটেলমেন্ট ও জেলা প্রশাসক অফিস। এখানে আমাদের কিছ্ইু করার নেই।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

August 2019
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

সর্বশেষ খবর

………………………..