সিলেট ৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৩৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০১৯
আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সিলেট জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি মো. বাবুল মিয়া ও তার স্ত্রী মমতা জান্নাত খাদই প্রতারণার শিকার হয়েছে এসএমপি পুলিশ কমিশনারের কাছে বিচারপ্রার্থী হয়েছেন। গত ২৬ আগস্ট প্রতারক মো. আব্দুল মতিন ও তার স্ত্রী নাছরিন এর বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মমতা জান্নাত খাদই। যার ডকেট নং-২৪২০।
অভিযোগে তিনি উলেখ করেন- তাঁর স্বামী আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সিলেট জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি মো. বাবুল মিয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা জহির আলী এর সন্তান। গত ২০১৮ সালে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক একটি মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে। তার স্বামীকে জেল থেকে মুক্তি করতে তিনি প্রায়ই সিলেট জজ কোর্টে যেতেন। এ সুযোগে অভিযোগে উলেখিত ২নং আসামী নাছরিন আক্তারের সাথে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে নাছরিন আক্তার তার স্বামী বাবুল মিয়াকে জেল মুক্তি দিতে পারবেন বলে আশ্বস্থ প্রকাশ করেন। তখন মমতা জান্নাত স্বামীকে জেল থেকে বের করতে নাছরিনের কথামত কাজ করতে থাকেন। নাছরিন গত ২৯ অক্টোবর অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনকে নিয়ে মমতা জান্নাতের বাসায় যান। গিয়ে তার স্বামী বাবুল মিয়াকে জেল থেকে বের করতে হাইকোর্ট থেকে জামিন আনতে হবে। যার জন্য ৩ লক্ষ টাকা খরচ হবে বলে জানান। স্বামীকে পাওয়ার আশায় টাকা দিতে সম্মতি দেন মমতা জান্নাত। প্রতারক নাছরিনের কথা মতে ওই দিন দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে দেন মমতা জান্নাত। পরে ৩০ অক্টোবর আবারও নাছরিন জানায়- বাকী দেড় লক্ষ টাকা দিলে বাবুল মিয়াকে কালই বের করা যাবে। তাতেও রাজি হন মমতা জান্নাত। পরে ১১ নভেম্বর আরো দেড় লক্ষ টাকা নাছরিনকে দেন মমতা জান্নাত। ১২ নভেম্বর সারা দিন অপেক্ষা করেও যখন তার স্বামী বাবুল মিয়া জেল থেকে বের হননি দেখে মমতা জান্নাত চলে যান নাছরিনের বাসায়। সেখানে যাওয়ার পর বাবুল মিয়াকে বের করতে হলে হাইকোর্টে ওই স্বাক্ষরিত ৩ কপি স্ট্যাম্প জমা দিতে হবে বলে নাছরিন ও তার স্বামী অভিযোগের ১ম আসামী মো. আব্দুল মতিন ৩টি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন। এরপরেও যখন বাবুল মিয়াকে জামিনে মুক্তি দিতে পারেননি তখন আবারও মমতা জান্নাত প্রতারক নাছরিনের বাসায় যান। সেখানে যাওয়া মাত্র নাছরিন ও তার স্বামী আব্দুল মতিন জোর করে মমতা জান্নাতের দুটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ও তাকে প্রহার করে বাসা থেকে বের করে দেয়। পরে মমতা জান্নাত কোর্টে গিয়ে তার স্বামীকে জামিনে মুক্তি লাভ করে উক্ত ঘটনার বিচার চেয়ে ও প্রতারক নাছরিন ও তার স্বামী আব্দুল মতিনের শাস্তি দাবি করে এসএমপি পুলিশ কমিশনার বরাবরে এ অভিযোগ দায়ের করেন।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd