সিলেট ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:২৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৫, ২০১৯
সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার চাঞ্চল্যকর নির্মল হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। প্রথমেই নির্মল বিশ্বাসের প্রেমিকা কনিকার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নিয়েই রহস্য উদঘাটনের কাজ শুরু করেন এসআই জুনেদ আহমদ। হত্যা মামলায় স্বীকারোক্তি প্রদানকারী নারী কনিকা বিশ্বাসের সাথে নিহত নির্মল বিশ্বাসের দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীতে আসামি কার্তিকের সাথে কনিকার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠলে নির্মল বিশ্বাস বাধা হয়ে দাঁড়ান। এ জন্যই নির্মল বিশ্বাসতে হত্যা করা হয়।
এই হত্যা মামলার অন্যতম আসামি রবিন পাত্রকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই মামলার আলামত মোটর সাইকেল গোলাপগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
এসআই জুনেদ বলেন, নির্মল বিশ্বাসকে হারনো ছোট ভাই বিজয় বিশ্বাস এর কাছ থেকে পাওয়া ছোট্ট এই ক্ষুদে বার্তাটি আমাকে আরো বেশি অনুপ্রেরণা যোগায়। বিজয় বিশ্বাস লিখেছে “শ্রদ্ধেয় স্যার, একটা সন্তান হারানো মায়ের মুখে কিছুটা হলেও ম্লান দূর হয়েছে। একটা আর্তনাদকারী পরিবারে এত দ্রুত হাসি ফিরবে কখনো ভাবিনি। যে মানুষ দুনিয়া থেকে চলে গেছে সেতো আর ফিরবে না। কিন্তু হত্যাকারীকে না ধরলে সারা জীবন হতাশা থেকেই যেত। আপনাদের কল্যাণে পুনরায় পরিবারে স্বস্তি ফিরে পেলাম স্যার। আসামী ধরা পরায় মন থেকে অনেক বুঝা চলে গেছে স্যার। আর সবই সম্ভব হয়েছে আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে।
গত (১৭ জুলাই) রাতে গোয়াইনঘাটের জাফলং চা-বাগানে অজ্ঞাত নামা আসামিরা বিজয় বিশ্বাস এর বড় ভাই নির্মল বিশ্বাস(৩০) কে হত্যা করে লাশ জঙ্গলে লুকিয়ে রেখে তাহার সাথে থাকা মোটর সাইকেলটি নিয়ে যায়। পরের দিন ১৮ জুলাই বিকালে নির্মল বিশ্বাস এর লাশ জাফলং চা বাগানের জঙ্গলে পাওয়া গেলেও তাহার মোটর সাইকেলটি পাওয়া যায়নি।
মামলা (নং- ২২, তারিখ- ২০জুলাই ২০১৯ইং)। মামলা রেকর্ডের পর ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তৎপর হয়ে উঠেন থানা পুলিশের এসআই জুনেদ আহমদ। নির্মল হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করতে গোয়াইনঘাট সার্কেলের এ.এস.পি নজরুল ইসলাম, থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আব্দুল জলিল, অফিসার (তদন্ত) হিল্লোল রায় দীক নির্দেশনায় তদন্ত কর্মকর্তা সেকেন্ড অফিসার এস.আই মো. জুনেদ আহমদ সঙ্গীয় ফোর্সসহ জাফলং, সিলেটসহ বিভিন্ন স্থানে পৃথক পৃথক স্থানে অভিযান চালান। পরে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের সকল অফিসার ফোর্সের একাধিক টিম বিভিন্ন স্থানে একাধিক অভিযান পরিচালনা করিয়া হত্যাকান্ডের পরিকল্পনাকারি ও মামলার প্রধান আসামি রবিন প্রাত্রকে গ্রেফতার করেন এসআই জুনেদ। রবিন এর স্বীকারোক্তি মতে গোলাপগঞ্জ থানা এলাকা হইতে মোটর সাইকেলটি উদ্ধার করেন। বড় ভাই হত্যার আসামি এত তারাতাড়ি গ্রেফতার হওয়ায় বিজয় বিশ্বাস এর পিতা মাথার দুঃখের মাঝে যে হাসি টুকু ফুটাতে পেরে চাকরি জীবনের বড় সার্থকতা মনে করেন তদন্ত কর্মকর্তা সেকেন্ড অফিসার এস.আই মো. জুনেদ আহমদ।
চাঞ্চল্যকর নির্মল হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করতে এসআই জুনেদকে সকল ধরণের সহযোগিতা করেছেন থনার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল জলিল, অফিসার (তদন্ত) হিল্লোল রায়। এমনকি হিল্লোল রায় নিজে মাঠে ছিলেন অভিযানে অংশ নেন। যার ফলে সকলের সহযোগিতায় এ ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd