ভূয়া স্ত্রী সেজে কানাইঘাটে মুক্তিযোদ্ধার ভাতার টাকা উত্তোলন: এলাকায় তোলপাড়

প্রকাশিত: ৪:০৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০১৯

ভূয়া স্ত্রী সেজে কানাইঘাটে মুক্তিযোদ্ধার ভাতার টাকা উত্তোলন: এলাকায় তোলপাড়

Manual3 Ad Code

১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে পাকিনস্থান হানাদার বাহিনীর হাতে শাহাদত বরনকারী কানাইঘাট লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির নারায়নপুর গ্রামের ুবীরমুক্তিযোদ্ধা একরাম আলীর ভ‚য়া স্ত্রী সাজিয়ে কালন বিবি নামে অন্য আরেকজনের স্ত্রী মুক্তিযোদ্ধার ভাতা উত্তোলনের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য স্থানীয় ছোটফৌদ গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আওয়ামীলীগ নেতা শফিকুর রহমান চৌধুরী বাদী হয়ে গত ১৫ জুলাই সিলেটের জেলা প্রশাসক ও সিলেটের পুলিশ সুপার এবং ৭ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের দায়িত্ব পালনকারী তানিয়া সুলতানা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে বীরমুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান চৌধুরী উল্লেখ করেছেন ১৯৭১ সালে যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে কানাইঘাট রাজার টিলা এলাকায় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে অবিবাহিত অবস্থায় শহীদ হন নারাইনপুর গ্রামের মৃত কটাই মিয়ার পুত্র শহীদ একরাম আলী। যাহা এলাকার সবাই জানেন। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা একরাম আলীর মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নং ৪৩৪৪ তারিখ ০৪/০৬/২০০৫ এবং মুক্তিবার্তা নং ০৫০১০৬০২৩২/১৯৯৯ ইং। বীরমুক্তিযোদ্ধা একরাম আলী অবিবাহিত অবস্থায় যুদ্ধে মারা গেলেও অত্যন্ত জালজালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির মিকিরপাড়া গ্রামের আখদ্দুছ আলীর স্ত্রী নিঃসন্তান কালন বিবি মুক্তিযোদ্ধা একরাম আলীর স্ত্রী সাজিয়ে জন্ম নিবন্ধন জালিয়াতি মাধ্যমে ২০১৩ইং থেকে মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতার যাবতীয় টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে আসছেন। কালন বিবি ১০/০২/২০৫২ইং জন্ম দেখিয়ে জাল জন্ম সনদ যার নিবন্ধন নং ১৯৫২৯১১৫৯৭২০০৩০৮৯ তৈরী করেন। কিন্তু উক্ত জন্ম নিবন্ধন সনদ লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়ন কার্যালয় থেকে উত্তোলন করে দেখা কালন বিবির প্রকৃত জন্ম তারিখ ১০/০২/১৯৬৮ইং হচ্ছে। কি করে প্রকৃত জন্ম সনদ স্ক্যানিং করিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে অনেকের সহযোগিতায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা একরাম আলীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা তার ভ‚য়া স্ত্রী সাজিয়ে কালন বিবি জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তোলন করে যাচ্ছেন। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা একরাম আলী কি করে ৩ বছর বয়সে আকদ্দছ আলীর স্ত্রী কালন বিবি কে বিয়ে করলেন এ নিয়ে এলাকায় জানাজানির পর তোলপাড় চলছে। অভিযোগে আর উল্লেখ করা হয়েছে কালন বিবি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা হলে ও ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সামছুল ইসলাম শহীদ মুক্তিযোদ্ধা একরাম আলীর স্ত্রী বলিয়া জালিয়াতির মাধ্যমে উত্তরাধিকার সনদ দিয়েছেন। শহীদ একরাম আলী ১৯৭১ সালে যুদ্ধে মারা যাবার পরও কালনবিবি কে জালিয়াতির মাধ্যমে তার স্ত্রী সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা উত্তোলনের সাথে নক্তিপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক ও ভাতা উত্তোলনের সহায়তাকারী উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নজমুল হক ও সাবেক কমান্ডার নুরুল হক কে অভিযোগের তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আবেদন উল্লেখ করা হয়েছে। দরখাস্তকারী বীরমুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমা চৌধুরী বলেছেন, যুদ্ধকালীন সময়ে আমার সহযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা একরাম আলী পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সাথে লড়াই করে শাহাদত বরন করেন। তিনি ছিলেন অবিবাহিত তাহার উত্তরাধিকার কেউ নেই। কিন্তু কালন বিবি কি করে আমার সহযোদ্ধা একরাম আলীর স্ত্রী সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা উত্তোলনের কথা তিনি জানতে পেরে সমাজ সেবা কর্মকর্তাকে বলার পরও কোন ধরনের ব্যবস্থা ও ভাতা বন্ধ না করায় তিনি বিবেকের তাড়নায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..