বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্প

প্রকাশিত: ৪:১৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ৫, ২০১৯

বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্প

Manual4 Ad Code

গত ৫ দিনের থেমে থেমে বৃষ্টির পাশাপাশি বুধবার বিকাল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত একটানা ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়ার রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা কুতুপালং থেকে পালংখালী পর্যন্ত সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে যানবাহন চলাচল।

এছাড়া বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্প। সরেজমিন দেখা গেছে, উখিয়ার কুতুপালং বাজারের দক্ষিণ পাশ থেকে শুরু করে বালুখালী পানবাজার, থাইংখালী পশ্চিম স্টেশন এবং পালংখালী বাজারটি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানিতে ভাসছে।

Manual3 Ad Code

নোমান খান নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, থাইংখালীর এক প্রভাবশালী বাজারের নালা বন্ধ করে স্থাপনা নির্মাণ করার কারণে পানি চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়ে বাজারের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। একই কথা বালুখালী পানবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. সেলিমের।

Manual5 Ad Code

তলিয়ে গেছে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্প : টানা বর্ষণের কারণে তলিয়ে গেছে সীমান্তের শূন্যরেখায় অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ভারি বর্ষণের ফলে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে যায় এ ক্যাম্প। শূন্যরেখার রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ জানান, প্রবল বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢলে তুমব্রু কোনারপাড়া রোহিঙ্গা শিবির তলিয়ে গেছে।

তিনি আরও জানান, কিছু উঁচু মাচাংঘর ও উঁচু জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছেন। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্লাবিত লোকজন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পাহাড়ি ঢল এখনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সীমান্ত খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে বাধা পড়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান এই রোহিঙ্গা নেতা।

পাশাপাশি প্লাবিত হয়েছে সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু কোনারপাড়া, বাজারপাড়া, মধ্যমপাড়ার বেশকিছু ঘরবাড়ি। ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান একে জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পটি তলিয়ে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

Manual4 Ad Code

এছাড়া সীমান্তের তুমব্রু খালে মিয়ানমার ব্রিজ নির্মাণ করে নিচে নেট তৈরি করায় পানি চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়ে তুমব্রু বাজারসহ বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ২০১৭ সালের ২৪ আগস্টের পর থেকে তুমব্রু কোনারপাড়া জিরো লাইনে অবস্থান নেয় প্রায় ৫ হাজার রোহিঙ্গা। এখন পর্যন্ত তারা সেখানে বসবাস করছেন।

Manual7 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..