সিলেটের উন্নয়নে সবাইকে পাশে চান : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন

প্রকাশিত: ১১:২২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯

সিলেটের উন্নয়নে সবাইকে পাশে চান : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন

Manual1 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট নিয়ে অনেক স্বপ্ন তাঁর। একটি উন্নত জনপদ হিসেবে সিলেটকে দেখতে চান তিনি। তাই জাতিসংঘের চাকুরি শেষে সিলেটে ফিরে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন জনসেবায়। সরকারের নতুন মন্ত্রীসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় সেই স্বপ্ন পূরণের পথ অনেকটা সুগম হয়েছে ড. এ কে আবদুল মোমেনের। তবে একা নয়, সিলেটের উন্নয়নে সবাইকে পাশে চান তিনি। সবাইকে সাথে নিয়েই তিনি প্রত্যাশিত উন্নয়ন করতে চান সিলেটের।

মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোগে চেম্বার মিলনায়তনে দেয়া সংবর্ধনার জবাবে এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন সরকারের নতুন মন্ত্রীসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়া সিলেট-১ আসনের সাংসদ ড. এ কে আবদুল মোমেন।

ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়তে অর্থনৈতিক উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। তাই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর আমি অর্থনৈতিক কুটনীতি গ্রহণ করেছি। প্রধানমন্ত্রীর আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা দিতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

Manual3 Ad Code

বিপুল ভোটে নির্বাচিত করায় সিলেটবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত দশ বছরের উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি জনগনের যে প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় দেশের মানুষ আবারও শেখ হাসিনা ও তার দলকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছে।

তিনি বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুম আব্দুস সামাদ আজাদ ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুম হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, তাদের উত্তরসুরী হিসেবে আমি যেন সফল হতে পারি, দেশ ও জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি সেজন্য আমি সবার সহযোগিতা চাই।

তিনি বলেন, আমরা ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৩০ সালের মধ্যে সব সূচকে উন্নত ও ২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে চাই। এজন্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন ছাড়া আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব নয়। ২০২০ সালে জাতির জনকের শততম জন্মবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার অর্ধশতবার্ষিকী সহ বিভিন্ন কর্মসূচী আমাদের সামনে রয়েছে। তাই সততা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও সফলতার সাথে আমার দায়িত্ব যাতে পালন করতে পারি সেজন্য সকলের সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

ড. মোমেন বলেন, বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের ৫ জন সংসদ সদস্য মন্ত্রী পরিষদে রয়েছেন। এবার সবচেয়ে বড় সুযোগ আমাদের সামনে। আশা করি বড় প্রত্যাশা অর্জনে আমরা সক্ষম হবো।

Manual1 Ad Code

সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের সব প্রত্যাশার কথা মন্ত্রীর জানা আছে। আমরা সম্মিলিতভাবে সিলেটকে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো এবং সিলেটকে একটি মডেল ও শান্তির নগরী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবো।

Manual2 Ad Code

সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, সিলেট ফিরে প্রথমেই সিলেট চেম্বারে সংবর্ধনা গ্রহণ করায় সিলেটের ব্যবসায়ীদের পক্ষ আমরা আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আপনার নেতৃত্বে ব্যবসায়ীরা সমৃদ্ধ দেশ গঠনে সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে বলে আমরা দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রী পরিষদকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার বিগত দিনের মতো ব্যবসায়ীদের কল্যাণ, ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের অগ্রগতিতে কাজ করে যাবেন। নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিগত দিনের কর্মকান্ডের ভূঁয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, দেড়যুগ পর সিলেট থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আপনাকে পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত। জাতিসংঘে দায়িত্ব পালনকালে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ভূমিকা সর্বমহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। আশাকরি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও অত্যন্ত দক্ষতার সাথে প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বার্থ সংরক্ষণে আপনার কর্মতৎপরতায় বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হবে। আপনার পরিকল্পিত, আলোকিত ও উন্নত সিলেট গড়তে সিলেট চেম্বার সহযোগিতার হাত প্রসারিত করবে।

Manual1 Ad Code

তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে বিদেশে বাংলাদেশীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণ ও নতুন শ্রমবাজারের সন্ধান, বিশ্ববাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণ, বিদেশীদের অনএরাইভ্যাল ভিসার মেয়াদ ৯০ দিন পর্যন্ত বৃদ্ধিকরণ, সিলেট-চট্টগ্রাম রুটে বিমানের ফ্লাইট চালু, রেলসেবার মান উন্নয়ন ও সিলেট-চট্টগ্রাম, সিলেট-ঢাকা রুটে আধুনিক এসি কোচ সংযোজন, শ্রীমঙ্গলে স্থাপিত চা নিলাম কেন্দ্রের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, সিলেট শ্রম আদালত দ্রুত স্থাপন সহ বিভিন্ন দাবী উত্থাপন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রূপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবির, কাস্টম্স, এক্সাইজ এন্ড ভ্যাট কমিশনারেট সিলেট এর কমিশনার গোলাম মোঃ মুনীর, কর কমিশনার আবুল হান্নান দেলোয়ার হোসেন, সিলেট সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট চেম্বারের নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান বিজিত চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোঃ আজবাহার আলী শেখ, পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মোঃ আসলাম উদ্দিন, কাস্টম্স এর যুগ্ম কমিশনার মোঃ মিনহাজ উদ্দিন পাহলোয়ান, যুগ্ম কর কমিশনার শাহেদ আহমদ চৌধুরী, সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক সৈয়দ এফতার হোসেন পিয়ার, বিডা’র সহকারী পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ শরফুদ্দিন, সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি মাসুদ আহমদ চৌধুরী, সহ সভাপতি মো: এমদাদ হোসেন, পরিচালক মো: হিজকিল গুলজার, জিয়াউল হক, মোঃ সাহিদুর রহমান, পিন্টু চক্রবর্তী, নুরুল ইসলাম, মো: ওয়াহিদুজ্জামান (ভূট্টো), মুশফিক জায়গীরদার, পরিচালক আমিরুজ্জামান চৌধুরী, এহতেশামুল হক চৌধুরী, মুকির হোসেন চৌধুরী, আব্দুর রহমান, চন্দন সাহা, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, মোঃ আব্দুর রহমান (জামিল), পরিচালক হুমায়ুন আহমেদ, মুজিবুর রহমান মিন্টু, সিলেট কাস্টম্স এর সহকারী কমিশনার মোঃ জাকারিয়া ও মোঃ আহসান উল্লাহ, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমেদ সেলিম এবং প্রেস ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ ও সিলেট চেম্বারের সদস্যবৃন্দ।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..