সিলেট ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৩৯ অপরাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০২৫
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: বাগেরহাট সদর উপজেলার নোনাডাঙ্গা গ্রামে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে ইভটিজিংয়ের পরিণতিতে তার ভাইদের উপর সশস্ত্র হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিক তানজিলা বেগমকেও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী বাগেরহাট সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অপরদিকে, সাংবাদিক তানজিলাকে হুমকি প্রদান ও মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তিনি নিজেও পৃথকভাবে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই (শুক্রবার) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯ টার দিকে, কোচিং থেকে বাড়ি ফেরার পথে ঐ স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে একই এলাকার যুবক রাকিব (২০)।
প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় সে দীর্ঘ ছয় মাস ধরে সাগর শেখ ও মামুন শেখ নামের সহযোগীদের মাধ্যমে মেয়েটিকে রাস্তা-ঘাটে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করে আসছিল।
পরিবারের মান-সম্মান রক্ষার্থে বিষয়টি এতদিন চেপে যায় মেয়েটির পরিবার। একপর্যায়ে মেয়ের বিয়ের আয়োজন করা হলে উত্তেজনা বাড়ে।
ঘটনার দিন মেয়েটির মা ও রাকিবের পরিবারের এক নারী সদস্যের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়।
এরই জেরে সাগর শেখ, চাপাতি ও লোহার রড হাতে নিয়ে ছাত্রীটির দুই ভাই নয়ন ও অয়ন-এর উপর সশস্ত্র হামলা চালায়।
ঘটনার সময় সাংবাদিক তানজিলা বেগম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন এবং ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে হামলাকারীরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, এবং চাপাতি দিয়ে কোপ দেওয়ার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে তার মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয় এবং ভিডিওর অডিও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার পর থেকেই এলাকায় শুরু হয় প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া ও সন্ত্রাসী তৎপরতা।
পরবর্তীতে হামলায় যোগ দেয় মতিন শেখ ও তার ছেলে মামুন এবং যশোর থেকে ডেকে আনা হয় কথিত সন্ত্রাসী ‘জিনের বাদশা কামরুল’, কৃষক লীগের কারাডাপাড়া ৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল পাঠানের ছেলে মোন্না পাঠান এবং তার ভাগনে কামরুল। তারা এসে আবারও নিরীহ পরিবারের উপর হামলা চালায়।
সাংবাদিক তানজিলা জানান, ভিডিও করার কারণে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি তাকে হুমকি দিয়ে বলেন,“ভিডিও করে কী করবেন? মোবাইল না থাকলে কী করবেন? ভেঙে ফেললে কী করতে পারবেন?” এই বলে তাকে ভয় দেখানো হয়। এরপর থেকে তিনি পরিবারসহ ঘরবন্দি অবস্থায় রয়েছেন এবং নিয়মিত গালিগালাজ, হুমকি ও ভয়ভীতির শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ ও এলাকাবাসী সাংবাদিক তানজিলা বেগম ও ভুক্তভোগী পরিবারটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের দ্রুত ও কার্যকর হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, প্রশাসনের সদিচ্ছা ও কার্যকর পদক্ষেপ না থাকলে নিরীহ পরিবারটি সন্ত্রাসীদের হাতে চরম বিপদের মুখে পড়তে পারে।
এ বিষয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহামুদ-উল-হাসান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,“ঘটনার বিষয়ে পৃথক দুটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd