সিলেট ৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১২ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:০৭ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২৫
শাহিদা আরোবী :: সিলেটের জাফলং হচ্ছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। এখানে অনুপম সবুজ প্রকৃতি প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য। ভারতের পাহাড় থেকে নেমে আসা পিয়াইন ডাউকি নদী ও অসংখ্য ছড়া দিয়ে আসে ছোট- বড় পাথর ও বালি। এতে প্রবাহিত স্বচ্ছ পানিতে চমৎকার সৌন্দর্য সৃষ্টি করে। প্রতিদিন সৌন্দর্য পিয়াসী অনেক মানুষ মুগ্ধ হয়ে তা উপভোগ করে। পর্যটন এলাকার বাইরে সংগ্রাম খাসিয়া, চেরাপুঞ্জি থেকে নকশিয়া লামাপুঞ্জি প্রতাপপুর পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এবং জাফলং নয়াগাঙের চার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত পাথর কোয়ারি। এছাড়া ভোলাগঞ্জ বিছানাকান্দি, জৈন্তাপুরের শ্রীপুর, কানাইঘাটের লুভাডো- এসব এলাকা খনিজ পাথরের উৎস। জলপথে গড়িয়ে আসা এসব পাথর হতে পারে আমাদের মূল্যবান সম্পদ। যা দেশের উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করা যায়।
দীর্ঘদিন ধরে জাফলং ও অন্যান্য এলাকার শ্রমিকরা নদী থেকে পাথর সংগ্রহের কাজে জড়িত। আর এ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের অনেক বসতি গড়ে ওঠেছে, যারা শ্রমিকদের শ্রমের উপর নির্ভরশীল। পাথর তোলার কাজ অনেক শ্রমসাধ্য, সে তুলনায় মজুরি সন্তোষজনক নয়। এ আয দ্বারা তাদের অতিকষ্টে দিন চলে। কিন্তু উল্লিখিত এলাকায় পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় একদিকে শ্রমিকরা বেকার হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে, অন্যদিকে পাথর আসার পথ বন্ধ হয়ে আছে। উজান থেকে পাথর আসতে পারছে না।
সীমান্তের ওপারে পাথর-বালির অফুরন্ত ভান্ডার রয়েছে। কোয়ারিতে পাথর আসা নির্বিঘ্ন হলে অর্থনীতিতে বিরাট সহায়ক হবে। আর শ্রমিক পরিবারও আর্থিক দুরাবস্থা কাটিয়ে ওঠতে সক্ষম হবে। শ্রমিক পরিবারগুলো পাথর তোলার সুযোগ প্রদানের দাবি জানিয়েছে। এ ব্যাপারে জাফলংয়ের শ্রমিকসহ অন্যরা সরকারের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd