সিলেট ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:২০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০২৪
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে ‘হেড অ্যান্ড নেক’ ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিলে ‘হেড অ্যান্ড নেক’ ক্যান্সার থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব। বিশ্ব হেড-নেক ক্যান্সার দিবস-২০২৪ উপলক্ষে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল এডুকেশন ইউনিট হলরুমে অনুষ্ঠিত জনসচেতনামূলক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। বুধবার এসওএমসির অটোলারিঙ্গোলজি-হেড এন্ড নেক সার্জারী বিভাগের উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ‘হেড অ্যান্ড নেক’ ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশুও রয়েছে। বাংলাদেশের শিশুরা যত ধরনের ক্যান্সারে ভোগে তার আট থেকে ১০ শতাংশই হেড অ্যান্ড নেক ক্যান্সারে আক্রান্ত। শিশুদের মধ্যে এই ক্যানসার জিনগত কারণে হয় বলে এটি প্রতিরোধের কোনো উপায় নেই। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে, যা প্রতিরোধ করা যেতে পারে। প্রাথমিক অবস্থায় রোগটি নির্ণয় হলে এবং সঠিক সময় চিকিৎসা নিলে সববয়সী রোগীর শতভাগ সেরে ওঠা সম্ভব। বক্তারা বলেন, ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য যে অর্থ ব্যয় হয় তা যদি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ব্যয় করা হয়, তাহলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচানো সম্ভব। হেড ও নেক ক্যানসারের প্রধানতম কারণ তামাক। যদি আমরা তামাক খাওয়া কমিয়ে দিই, তাহলেই এই ক্যান্সার কমানো সম্ভব। এছাড়া ‘হেড ও নেক’ ক্যান্সার থেকে বাঁচতে ধূমপান ও মদপানসহ যেকোনো ধরণের তামাক গ্রহণ বন্ধ করা, মুখের ভেতর পরিস্কার রাখতে প্রতিদিন ব্রাশ করা, নিয়মিত ডেন্টিস্টের কাছে চেকআপ এবং সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ছাতা ও টুপি ব্যবহার ও ত্বকে সানস্ক্রিন ও ঠোঁটে সানস্ক্রিনযুক্ত লিপবাম ব্যবহার করার পরামর্শ দেন বক্তারা।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওআরএলএইচএনএস বিভাগের প্রধান এসোসিয়েট প্রফেসর ডা. নুরুল হুদা নাঈমের সভাপতিত্বে ও সমন্বয়কারী সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অটোলারিঙ্গোলজি-হেড এন্ড নেক সার্জারী বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর ডা. সৈয়দ নাফি মাহদীর পরিচালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. জিয়াউর রহমান চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উমর রাশেদ মুনির। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এসওএমসিএইচ’র উপ-পরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্ত্তী, এসওএমসিএইচ’র চর্ম ও যৌন বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. সালেহ আহমদ শাহিন।
সেমিনারে সেশন পরিচালনা করেন সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওআরএলএইচএনএস বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. মাশুকুর রহমান চৌধুরী, জালালাবাদ রাগির-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওআরএলএইচএনএস বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. এসএসএ আল-মাহমুদ সাদি, পার্ক ভিউ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওআরএলএইচএনএস বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. এমাদ হুসাইন চৌধুরী, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওআরএলএইচএনএস বিভাগের প্রধান এসোসিয়েট প্রফেসর ডা. নুরুল হুদা নাঈম, ওআরএলএইচএনএস বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর ডা. মুখলেসুর রহমান শামীম ও এসোসিয়েট প্রফেসর ডা. মো. শাহ কামাল ও নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওআরএলএইচএনএস বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. মো. খালেদ আহমদ। বিজ্ঞপ্তি
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd