রাজস্ব খাতের টাকা আত্মসাৎ : বিশ্বনাথের মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা

প্রকাশিত: ৯:৪০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০২৪

রাজস্ব খাতের টাকা আত্মসাৎ : বিশ্বনাথের মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা

Manual7 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের বিশ্বনাথে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ময়লা আবর্জনার খাত দেখিয়ে রাজস্ব খাত থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান। ময়লা আবর্জনা বিশ্বনাথ শহরের জনগুরুত্বপূর্ণ প্রবাসী চত্তরের পাশে ও বাসিয়া নদীতে ডাপ্পিং করেছেন। এমনকি পৌরসভার টাকা অন্য ইউনিয়নে ও অন্য উপজেলায় বিতরণ করেন।

সরকারের রাজস্ব খাত থেকে তিনি বাজেট অনুসরন না করে বিভিন্ন নামে বেনামে ভূয়া বিল ভাউচার করেও বিপুল পরিমান টাকা আত্মসাৎ করেছেন। পৌর পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়া জনপ্রতি ২/৩ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে একক ক্ষমতা বলে মাষ্টারোলের মাধ্যমে নিজের আত্বীয়-স্বজনকে পৌরসভায় নিয়োগ দিয়েছেন।

Manual4 Ad Code

বিশ্বনাথ পৌরসভার উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য বিভিন্ন সময় দরপত্র আহবান ছাড়া তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজের পছন্দের ঠিকাদার দিয়ে কাজ পরিচালনা করছেন। এবং কাউন্সিলরদের প্রত্যয়ন ছাড়া লাখ লাখ টাকার বিল পরিশোদের ব্যবস্থা করে দীর্ঘদিন ধরে টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন।

Manual5 Ad Code

দুর্নীতি করার সুবিধার্থে পৌরসভার কার্যালয় থেকে অফিসিয়াল সকল কাগজপত্র, ফার্নিচার ও ল্যাপটপ তার বাসভবনে নিয়ে অফিসের সকল স্টাফ দিয়ে অফিসের কাজ করান। মেয়র প্রত্যেক মাসের সাধারণ সভা পৌর কার্যালয় অফিসে না করে তাহার বাসভবনে করেন। এতে জনগণ সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

ছাড়াও পৌরসভার মেয়র কাউন্সিলর ও জনগণের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ, স্বজনপ্রিতি, গালমন্দ ও ক্ষমতার অপব্যবহার ভারসাম্যহীন ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন। তার অনিয়ম দুর্নীতি আর ভারসাম্যহীন আচরণের কারণে কাউন্সিলর ও এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। বিচার সালিশের ভিডিও করে তার ফেসবুক আইডিতে ভাইরাল করে জনগণের মানহানী করে আসছেন।

Manual2 Ad Code

এমন বেশ কয়েকটি অভিযোগ এনে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন ২০০৯ এর ৩৮ ধারা মোতাবেক অনাস্থা এনে একটি লিখিত প্রস্তাব দাখিল করেছেন ৭ জন কাউন্সিলর। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থানী সরকার বিভাগের সচিবের কাছে তারা এই অনাস্থা প্রস্তাবের লিখিত দাখিল করেন।

Manual6 Ad Code

লিখিত এই অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন প্যানেল মেয়র-১ রফি মিয়া, প্যানেল মেয়র-২ সংরক্ষিত কাউন্সিলর সাবিনা বেগম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রাসনা বেগম, সংরক্ষিত কাউন্সিলর লাকী বেগম, কাউন্সিল রাজুক মিয়া রাজ্জাক, জহুর আলী ও শামীম আহমদ। গত ৯ এপ্রিল দুপুরে পৌর কাউন্সিলর হলরুমে এক সভার মাধ্যমে এই অনাস্তার প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

এবিষয়ে বক্তব্য নিতে চাইলে মেয়র মুহিবুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

April 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..