সিলেট ২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৯শে শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৩০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪
তাহিরপুর প্রতিনিধি :: চার দিনের টানা বৃষ্টিপাত হওয়ায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ করতে পারছে না এস্কেভেটর (মাটি কাটার যন্ত্র) শ্রমিকরা। হাওরে মাটি কাটার শ্রমিকরা জানিয়েছে, হাওরের যে স্থান থেকে মাটি উঠাতে হয় সে স্থানগুলোতে বৃষ্টির পানিতে কাদা হয়ে গেছে। বৃষ্টির পানি না শুকালে মাটি কাটা যাবে না। এদিকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ কাজের শেষ দিন। আর মাত্র ২দিন বাকী।
তাহিরপুর উপজেলার শনি, বর্ধিত গুরমা ও মাটিয়ান হাওরের ৮২টি প্রকল্পের মধ্যে ৮টি প্রকল্পের কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাঁধ হচ্ছে মাটিয়ান হাওরের বোয়ালমারা ক্লোজার বাঁধ। এ ক্লোজার বাঁধটি গুরুত্বপূর্ণ বিধায় তিনটি প্রকল্প দেয়া হয়েছে বাঁধটি নির্মাণের জন্য। প্রকল্পগুলো হলো— ৬০, ৬১ ও ৬২ নম্বর প্রকল্প। এছাড়া বর্ধিত গুরমা হাওরের ১৪ নম্বর প্রকল্প ও শনির হাওরের ৭৭ নম্বর প্রকল্পটি রয়েছে অসম্পূর্ণ। অসম্পূর্ণ প্রকল্পগুলো হলো—২৬, ৩৪, ৪৫, ৬০, ৬১, ৬২, ১৪ ও ৭৭। এদিকে ৮টি প্রকল্পের কাজ অসম্পূর্ণ থাকলেও নির্মাণাধীন প্রকল্পগুলোতে বাঁধে দুর্মুজ করা, উভয় দিকে ঘাস লাগানো এখনো শুরুই হয়নি।
বাঁধ এলাকার স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত কোন বাঁধের কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়নি। একদিন বৃষ্টি হলে বাঁধের কাজ তিন দিন পিছিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হওয়াতে বাঁধের কাজ কমপক্ষে ১৫ দিন পিছিয়েছে।
শনির হাওরের ৭৭ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি মিয়া হোসেন বলেন, আহম্মকখালী হতে গোপালপুর পর্যন্ত তার বাঁধ নির্মাণ কাজ। বৃষ্টির জন্য গত ৪/৫দিন ধরে তিনি কাজ করতে পারছেন না। আবহাওয়া ভাল হলে দ্রুত সময়েই তিনি নির্মাণ কাজটি শেষ করতে পারবেন বলে তিনি জানান।
বর্ধিত গুরমা হাওরের ১৪ নম্বর প্রকল্প সভাপতি কামরুল হাসান বলেন, তার নির্মাণ কাজে একটি ক্লোজার ছিল। ক্লোজার ভরাট করতে তার অনেক সময় লেগেছে। বৃষ্টির জন্য তিনি কাজ করতে পারছেন না বলে জানান।
মাটিয়ান হাওরের ৪৫ নম্বর প্রকল্পের সভাপতি উজ্জল মিয়া বলেন, বৃষ্টির জন্য বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারছি না। বিশেষ করে যেখান থেকে মাটি আনতে হয় সেখানে কাদামাটি। তাই টাকা দিয়ে ধান রোপন করা জমি থেকে মাটি আনতে হয়। এজন্য বাঁধের কাজে বিলম্ব হচ্ছে।
মাটিয়ান হাওরের ৬১ নম্বর প্রকল্প সভাপতি মহিবুল আলম বলেন, আমাকে ৬ ফেব্রুয়ারি পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধের কাজ সমজিয়ে দিয়েছে। কিছু কাজ করেছি, এখন বৃষ্টির জন্য কাজ করতে পারছি না।
তাহিরপুর উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড উপ—সহকারী প্রকৌশলী মো. মনির হোসেন বলেন, ৮২টি প্রকল্পের মধ্যে ৭৪টি প্রকল্পের কাজ শেষের পথে। তবে ৮টি প্রকল্পের কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে। তিনি আরও জানান, বাঁধ নির্মাণ কাজের পিআইসিরা যেখান থেকে মাটি আনবে সে জায়গা এখনো শুকায়নি। বৃষ্টির কারণে অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd