সিলেটে নজরুল-আল আমিনের জমজমাট জুয়ার আসর : হতাশ নগরবাসী

প্রকাশিত: ১:৪০ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০২৩

সিলেটে নজরুল-আল আমিনের জমজমাট জুয়ার আসর : হতাশ নগরবাসী

Manual1 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: হযরত শাহজালাল-শাহপরান (রহ.) ও এর স্মৃতি বিজড়িত ৩৬০ আউলিয়ার পুণ্যভূমি সিলেট জুয়াড়ি সিন্ডিকেটে চক্রের দাপটে অসহায়। দেদার চলছে জুয়ার রমরমা ব্যবসা, প্রতিদিন লুটেপুটে খাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। হতাশ নগরবাসী।

Manual6 Ad Code

বিগত কয়েক বছর ধরে একটি অপরাধী চক্র সিন্ডিকেট করে মহানগরীর উত্তর ও দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন মার্কেট, ব্যস্ততম রাস্তা, দোকানপাট, অলিগলিতে ও সরকারি ভুমিতে অস্থায়ী ঘর বানিয়ে জুয়ার আসর তৈরি করে নগরীকে কলুষিত করছে।

অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে জুয়ার বোর্ড পরিচালনায় কয়েকজন মূলহোতার নাম। এদের মধ্যে অন্যতম নজরুল ইসলাম ও আল আমিন এদের সিন্ডিকেট নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে জুয়ার আসর পরিচালনা করে আসছে। তারা কদমতলী ও সোবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের ম্যানেজ করে প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে জুয়ার আসর।

Manual7 Ad Code

মহানগরীর কীন ব্রিজের দক্ষিণ পাশের মাছবাজারের ভিতর, রেলওয়ে স্টেশনের পাবলিক টয়লেট ও সোবহানীঘাট কাঁচাবাজার এলাকায় রমরমা জুয়ার চালিয়ে যাচ্ছে। এরাই সিলেট নগরীর জুয়াড়িদের নেতৃত্ব দানকারী।

তারা স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই চলে এসব অপরাধ। তাই অপরাধী চক্রের অপরাধ দেখেও নীরব ভূমিকা পালন করছেন কর্তৃপক্ষ ।

জুয়াড়ি চক্র প্রকাশ্যে দিবালোকে এইসব স্পটে দুপুর ২ ঘটিকা থেকে মধ্যেরাত পর্যন্ত শীলং তীর, তিনতাস, জান্ডু-মুন্ডু, নামক বোর্ড বসিয়ে রমরমা জুয়ার ব্যবসা চালানোর কারণে জুয়ায় আসক্ত নিম্ন আয়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উৎসাহিত হচ্ছে। এসব কারণে একদিকে যেমন বাড়ছে সামাজিক বিশৃঙ্খলা, অন্যদিকে বাড়ছে পারিবারিক বিবাদ-কলহ, চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড।

নগরীতে সরেজমিন ঘুরে সাধারণ মানুষ ও বোর্ড মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা, মিডিয়া কর্মী এবং স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করেই এ ব্যবসা চালায় অপরাধী জুয়াড়ি চক্র। নজরুল-আল আমিন আঙুল ফুলে কলাগাছ। গড়ে তোলেছেন অটল সম্পদ।

তারা আরো বলেন, সহযোগিতা না পেলে কীভাবে জুয়ার ব্যবসা চালাব। আমাদের বিরুদ্ধে লিখে আমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবেন না।

Manual4 Ad Code

এ ব্যপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জুয়াড়ি বলেন, সারাদিন যে টাকা ইনকাম করি সেই টাকা দিয়া সংসার চলে না। তাই বাড়তি আয়ের জন্য খেলতে আসি। মাঝে মাঝে পাই কিন্তু সবসময় দান পাই না। আবারো পাওয়ার আশায় প্রতিদিন খেলি। তিনি আরো বলেন, অনেক টাকা নষ্ট করেছি ভাই, সেই টাকা তুলতে গিয়ে খাদের কিনারে চলে এসেছি।

ভুক্তভোগীরা বলেন, রক্ষক যখন ভক্ষক হয় তখন কিছু করার থাকে না। খোদ প্রশাসনই জুয়া বন্ধ করতে পারছে না। গরিব মানুষগুলো ফকির হয়ে যাচ্ছে আর জুয়ার বোর্ড মালিকরা প্রতারণার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

এসব জুয়ায় নগরীর টোকাই, ভিক্ষুক, নিন্ম এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির ঠেলাচালক, ভ্যানচালক, রিকশাচালক, সিএনজি চালক, বাসচালক, মাইক্রোবাস চালক, ট্রাকচালক, পিকআপ চালক, হেলপার, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র, বেকার যুবক, বিভিন্ন কলোনির বিধবা মহিলা, কাজের বুয়া এবং তাদের সন্তানরা রাতারাতি বড়লোক হওয়ার লোভে এসব জুয়ার আসরে সারাদিনের ইনকাম বিনিয়োগ করে দিনশেষে প্রতারিত হয়ে খালি হাতে বাসায় ফেরে।

ফলে একদিকে যেমন বাসায় অশান্তি-কলহ সৃষ্টি হয়, অন্যদিকে পরিবারের আহার জোগাতে চুরি-ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ে এসব জুয়াড়িরা। তাই সিলেট মহানগরীতে অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

Manual3 Ad Code

নজরুল-আল আমিনকে গ্রেফতার করে এবং তাদের জুয়ার আসর ধ্বংস করে দিতে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

December 2023
S S M T W T F
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031  

সর্বশেষ খবর

………………………..