সিলেট নগরীর পয়েন্টে পয়েন্টে কোরবানির মাংস বিক্রির হাট!

প্রকাশিত: ১২:৩৮ পূর্বাহ্ণ, জুন ৩০, ২০২৩

সিলেট নগরীর পয়েন্টে পয়েন্টে কোরবানির মাংস বিক্রির হাট!

Manual5 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: সিলেট নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে কোরবানি মাংসের পসরা সাজিয়ে বসে আছেম মাংস বিক্রেতারা। তবে তারা কোনো পেশাদার কোনো মাংস ব্যবসায়ী নয়। মৌসুমি কসাই, দিনমজুর, দুস্থ্, ভিক্ষুক-গরিব, শিশু যারাই মাংস সংগ্রহ করতে পেরেছেন, সে মাংস বিক্রি করতে হাট বসিয়েছেন।

Manual6 Ad Code

বৃহস্পতিবার ঈদুল আযহার দিন বিকেল থেকে এমন দৃশ্য দেখা যায় নগরীর বেশ কয়েকটি পয়েন্টে।

নগরীর মুরমা মার্কেট, তালতলা, আম্বরখানা, দর্শন দেউরি, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার, রেলগেইট, জিতু মিয়ার পয়েন্ট, সুবিদবাজার, জেলরোড, সুরমা পয়েন্ট, হাউজিং স্টেইট গলির ভেতর, জালালাবাদ আবাসিক এলাকার মুখ, আম্বরখানা মোড়, দরগামহল্লা বিভিন্ন মোড়ে পলিথিনের প্যাকেটে কিংবা খোলা অবস্থায় ভাগ করে পেপারের ওপর মাংসের পসরা সাজিয়ে বসে বিক্রি করেছেন। এ হাটের ক্রেতারা হলেন মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত অনেক পরিবারের মানুষও। যারা কোরবানি দিতে পারেননি।

নগরীর তালতলা পয়েন্টে আব্দুল মুতলিব নামে এক মাংস বিক্রেতা জানান, তিনি পেশায় একজন ভিক্ষুক। সারাদিন বাসায় বাসায় গিয়ে দুই ব্যাগ মাংস সংগ্রহ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, আজ ঈদের দিন, তাই কেউ নগদ টাকা দেয়নি। সারাদিন ঘুরে ঘুরে বৃষ্টিতে ভিজে মাংস সংগ্রহ করেছি। কিন্তু বাসায় রান্না করার মতো পর্যাপ্ত মসলাপাতি নেই। এজন্য কিছু মাংস বিক্রি করছি, এই টাকা দিয়ে মসলা কিনে বাসায় নিয়ে মাংস রান্না করব।

Manual2 Ad Code

নগরীর এই পয়েন্টে মাংস কিনতে এসেছেন ফজলু মিয়া নামে এক রিক্সা চালক। তার গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলায়। সুবিধবাজারের কলাপাড়া এলাকায় একটি কলোনীতে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন তিনি।

আলাপকালে তিনি বলেন, আমরা ভাড়াটিয়া, আগে মালিক কোরবানির কিছু মাংস দিত, এবার তা পাইনি। বাচ্ছারা ঈদে মাংস খেতে চায়। তাই এখানে কিনতে এসেছি। তবে দাম খুব বেশী। মনে হয় না কিনতে পারব।

এদিকে, জেলরোডে সাগর মিয়া নামে এক মাংস বিক্রেতা বলেন, আজ সারাদিন সিলেটের বিভিন্ন বাসা-বাড়ি থেকে মাংস সংগ্রহ করেছি। আমি পেশায় একজন কসাই, কোরবানির পশু কেটেকুটে বকশিস হিসেবে মাংস পেয়েছি। টাকার প্রয়োজনে মাংস বিক্রি করেছি। এই মাংসের হাটের ক্রেতারা কম দামে মাংস কিনতে পেরে অনেকটা খুশি।

Manual2 Ad Code

মফিক উদ্দীন নামে এক ক্রেতা জানান, তারা কোরবানি দিতে পারিনি। এছাড়া যারা কোরবানি দেন তারা ঈদের দিন বাসা-বাড়িতে গিয়ে কাউকে কোরবানির মাংস দেন না। শুধু যারা বাসা-বাড়িতে গিয়ে হাত পেতে মাংস চায় কেবল তাদের কয়েক টুকরো মাংস দেয়া হয়। এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়ে মাংস আনা সম্ভব না। তবে এখানে কম দামে মাংস ক্রয় করতে পেরে ভালো লাগছে।

Manual8 Ad Code

তিনি আরও বলেন, এখানে কে বিত্তশালী কে গরীব তা দেখা হয় না। যে যেভাবে বিক্রেতাদের বুঝিয়ে কেজি ধরে কিনছেন। অনেক মানুষের কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য থাকে না। আবার ইচ্ছে থাকার পর নানা কারণে অনেক মানুষ কোরবানির পশু কিনতে পারেন না। এছাড়া শহরের ছোট ছোট হোটেল মালিক রয়েছেন। এসব ব্যক্তিরাই এ হাট থেকে মাংস কেনেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

June 2023
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930

সর্বশেষ খবর

………………………..