ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে ২ সন্তান রেখে উধাও এক মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীর স্ত্রী। আত্মগোপনে থেকে অপহরণ কিংবা গুম নাটক করে যাতে হয়রানি না করতে পারে এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রবাসী পরিবার। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে।
জানা যায়, মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী ও উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের জুনাব আলীর সাথে একই ইউনিয়নের ট্রাট্রউলি গ্রামের মৃত লতিফ মিয়ার মেয়ে দিলারা বেগম (৩৫) সাথে ১২-১৩ বছর আগে বিয়ে হয়। আল আমিন (১০) ও আমিনুল (৭) নামক তাদের ২ ছেলে সন্তান রয়েছে।
সোমবার ১৯ জুন সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসীর ভাই মো: আইয়ুব আলী অভিযোগ করেন, ভাই বিদেশে থাকার সুযোগে তার স্ত্রী দিলারা বেগম পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলছিলো। এরমধ্যে স্ত্রীর কিছু অশ্লীল ভিডিও পান স্বামী। জুনাব আলী প্রবাস থেকে গত ২৪ মে স্ত্রী দিলারা বেগমকে তালাক প্রদান করেন। তালাকনামা ডাকযোগে স্ত্রীর বাবার বাড়িতে পৌছলে দিলারা বেগম স্বামীর পরিবারের লোকজনকে গালাগালি করেন এবং ২ সন্তানকে নিজ হাতে জবাই করার এবং নিজে আত্মহত্যার হুমকি দেন। এসব বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেন কুলাউড়া থানায়। গত ২৫ মে রাতে ২ সন্তানকে ঘুমে রেখে উধাও হন দিলারা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে দিলারা বেগমের বড় ছেলে ১০ বছর বয়সী আল আমিন জানান, ওই দিন রাতে তার মামা কুটন মিয়া তাদের বাড়িতে আসেন। মামা ও তার মা অন্যরুমে কথা বলার সময় তারা ২ ভাই ঘুমিয়ে পড়েন। পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে তার মাকে না পেয়ে বিষয়টি চাচা ও ফুফুদের জানায়।
প্রবাসীর ভাই আকবর আলী, বোন ফজিরুন বেগম ও ভাগ্না ইসমাইল আলী জানান, দিলারা বেগমকে অপহরন করা হয়েছে উল্লেখ করে তার ভাই কুটন মিয়া এলাকায় প্রচারণা এবং প্রবাসীর পরিবারকে হয়রানির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশ দিয়ে গ্রেফতারের ভয় দেখাচ্ছে।
কর্মধা ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য মাহমুদা আক্তার জানান, আমি এ ধরনের একটি ঘটনা শুনেছি। তবে তাদেরও পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কিছু জানায়নি।
এবিষয়ে দিলারা বেগমের ভাই কুটন মিয়ার সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে কল দিলে তার স্ত্রী জানান, তিনি ফোন রেখে কাজে গেছেন। আমি এসব বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।
এব্যাপারে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুছ ছালেক জানান, প্রবাসীর স্ত্রী অপহরণ বা নিরুদ্দেশ এমন কোন ঘটনা কোন পরিবার লিখিত বা মৌখিকভাবে আমাকে অবগত করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Sharing is caring!