সিলেট ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:১৩ অপরাহ্ণ, জুন ১৩, ২০২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেট সদর উপজেলার হাটখোলা ইউনিয়নের ফকিরের গাঁওয়ে যৌতুকের জন্য অবুঝ ৩ কন্যা সন্তানের জননীকে হত্যা করা হয়েছে। মাকে হারিয়ে পাগলপারা ৩ সন্তান। পিতাও প্রবাসে থাকায় বড্ড অসহায় এখন ৩ কন্যা শিশু।
এ ঘটনায় নিহত পিয়ারা বেগমের ভাই নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে ফকিরের গাঁওয়ের হুনুর মিয়ার ছেলে লূৎফুর আমিনের সঙ্গে বিয়ে হয় কান্দিগাঁও ইউনিয়নের নীলগাঁও গ্রামের মৃত ফজর আলীর কন্যা পিয়ারা বেগমের। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য পিয়ারা বেগমের উপর নির্যাতন চালাতেন স্বামীর বাড়ির লোকজন। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ করে তাদের সতর্ক করা হয়। গত দেড়বছর পূর্বে স্বামী প্রবাসে চলে গেলে নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেন লূৎফুর আমিনের পরিবার। সর্বশেষ গত ৪ জুন যৌতুকের দাবিকৃত টাকা বাপের বাড়ি থেকে এনে দিতে অস্বীকৃতি জানালে শশুর হুনুর মিয়া, শাশুড়ী রফিকা বেগম ও জাহানারা বেগম মিলে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতর আহত করেন। খবর পেয়ে ভাই নুরুল ইসলাম অজ্ঞান অবস্থায় বোনকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৪ তলা ৬ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে ৭ জুন পিয়ারা বেগম (৩৫)-কে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি ১১ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে মারা যান। গতকাল মঙ্গলবার (১২ জুন) ময়না তদন্ত শেষে বাদ আসর নীলগাঁওয়ে তাকে দাফন করা হয়।
এদিকে মারপিটের ঘটনায় ৭ জুন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নং (৬) দায়ের করেন পিয়ারা বেগমের ভাই নুরুল ইসলাম। তিনি বোনের হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে তিন কন্যা শিশু শায়েলা বেগম (১৬), লায়লা বেগম (১৩) মাকে প্রায়ই মারপিটের কথা জানিয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে মার হত্যার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। ছোট মেয়ের বয়স ১৮ মাস। মা হারানো অবুঝ এই শিশু কেবল মাকেই খুঁজছে।
এ ব্যাপারে জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল আলম জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd