সিলেট ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:৪৫ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০২৩
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সায়ীদ মো. আবদুল্লাহের বিরুদ্ধে এবারে নৌকার মেয়র প্রার্থীর কর্মীকে মারধরের অভিযোগে মামলা হয়েছে। রবিবার (১১ জুন) রাতে মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানায় আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) ও স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইনে মামলা হয়েছে। মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের অর্থ সম্পাদক মো. শাহানুর আলম বাদী হয়ে সায়ীদসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে জামায়াত-শিবিরের অজ্ঞাত ৭০-৮০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার সুদীপ দাস মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত শুক্রবার কাউন্সিলর প্রার্থী সায়ীদ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র দলবল নিয়ে বাসার সামনে মহড়া ও হত্যার হুমকির অভিযোগ মামলা করেন। ২১ জুন সিসিক নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আবারও প্রার্থী হয়েছেন আফতাব। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সায়ীদকে নির্বাচন থেকে সরাতে তিনি সহযোগীদের নিয়ে মহড়া দিয়েছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। সায়ীদের বাসার সামনে সশস্ত্র মহড়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানোর পর তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে ভিডিও ফুটেজে দেখা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়নি।
রবিবার করা মামলায় শাহানুর আলম উল্লেখ করেন, আসন্ন নির্বাচনে তিনি নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থীর পক্ষে গঠিত গৌছ উলুম জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা, পশ্চিম পীরমহল্লা ভোট কেন্দ্র কমিটির যুগ্ম আহ্বায়কের দায়িত্বে রয়েছেন। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর পাশাপাশি তিনি কাউন্সিলর প্রার্থী ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আফতাবের প্রচারে সম্পৃক্ত রয়েছেন। ৬ জুন রাত ৮টায় প্রচার কার্যক্রম শেষে তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এটিএম হাসান জেবুলের সঙ্গে সুবিদবাজারে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন এবং প্রচারের দিকনির্দেশনার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর ৫০০ পোস্টার সংগ্রহ করেন।
এ পোস্টারগুলো ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে লাগানোর কথা ছিল উল্লেখ করে শাহানুর মামলায় অভিযোগ করেন, সুবিদবাজার থেকে ফেরার সময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে কাউন্সিলর প্রার্থী সায়ীদ মো. আবদুল্লাহর নেতৃত্বে ৩৫-৪০টি মোটরসাইকেল তাকে ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ বলে ধাওয়া দেয়। একপর্যায়ে হকিস্টিক, লোহার রডসহ লাঠিসোঁটা দিয়ে রাস্তায় ফেলে মারধর করে ডান হাত ভেঙে ফেলে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে পালিয়ে যায়। এরপর আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে তিনি ওসমানী হাসপাতালের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কেবিনে চিকিৎসাধীন আছেন।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd