সিলেট ৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:২৯ অপরাহ্ণ, জুন ১০, ২০২৩
ক্রাইম সিলেট প্রতিবেদক :: দর্শনীয় স্থান শ্রীমঙ্গলে হোটেল ও রিসোর্টে থানা পুলিশের হয়রানী ও আটক বাণিজ্যের অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। পুলিশী হয়রানীর ভয়ে সর্বদা আতঙ্কে দিন কাটছে ব্যবসায়ীদের। অসামাজিকতার ভয় দেখিয়ে অভিযানের নামের হোটেল ও রিসোর্টে থেকে বেপরোয়া টাকা আদায় করছে থানা পলিশের সদস্যরা। এমন অভিযোগ স্থানয়ী ব্যবাসায়ীদের। ফলে হোটেল ও রিসোর্টে মালিক ব্যবসায়ীরা থানা পুলিশের এই হয়রানী ও আটক বাণিজ্যের বিরুদ্ধে যে সময় আন্দোলনের নামতে পারেন বলে ক্রাইম সিলেটকে জানিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, ভ্রমন পিপাসু মানুষের প্রথম পছন্দের একটি নাম শ্রীমঙ্গল। মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলাটির পরিবেশ অত্যান্ত নিরিবিলি, চমৎকার সব উঁচু নিচু টিলা, সবুজ লতা-পাতায় ঘেরা বনভূমি, যতদূর চোঁখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ, সাথে আঁকা-বাঁকা পাহাড়ি রাস্তা পরিবেশকে আরোও সুন্দর করে তুলেছে। শ্রীমঙ্গলের বিস্তীর্ণ পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসরত উপজাতি জনগোষ্ঠী খাসিয়া, মণিপুরী, ত্রিপুরা ও গারোদের জীবনাচার, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কারণেও এ অঞ্চলের নাম অনেকের কাছে সুপরিচিত। চা শিল্পে শ্রীমঙ্গলের সুনাম বিশ্বব্যাপি। ভ্রমন পিপাসু মানুষের শ্রীমঙ্গল আসলে চা পাতার প্রেমে পড়ে চা পাতা কিনে নিয়ে যান।
শ্রীমঙ্গলের পাদদেশে অবস্থিত এককালে বৃহত্তর সিলেটের মৎস্য ভান্ডার বলে খ্যাত ‘হাইল-হাওর এবং শীতের শুরুতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ঝাঁকে ঝাঁকে শীতের পাখি। সারা বছর দেশ বিদেশের পর্যটকে মুখরিত থাকে শ্রীমঙ্গল।
কিন্তু বর্তমানে এই দর্শনীয় স্থানের হোটেল ও রিসোটে থাকতে ভয় পায় পর্যটকরা। এমন ভয় কাজ করলে এক সময় শ্রীমঙ্গল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে ভ্রমন পিপাসু মানুষ। যার কারণ স্থানীয় থানা পুলিশের আটক বাণিজ্য।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পর্যটকরা হোটেল ও রিসোর্টে রাত্রিযাপন করে। সেই সুযোগে অসামাজিকতার অভিযোগ দেখিয়ে হোটেল ও রিসোর্টে অভিযান পারিচালনা করে পুলিশ। যদিও যে সকল হোটেল ও রিসোর্টে কোন ধরণের অসামাজিকতা হয় না সেই হোটেলগুলোতেই চালানো হয় অভিযান। কিন্তু যে গুলোতে অসামাজিকতা হয় সেগুলোতে ভুলেও পুলিশ যায় না। যার কারণ এসকল হোটেল থেকে নিয়মিত বখরা আদায় করে থানা পুলিশের এস আই রফিক। শ্রীমঙ্গলে এমনই হয়রানীর শিকার হয়েছে একটি ভদ্র পরিবার। তবে সম্মানের ভয়ে তারা প্রতিবাদ করতে রাজি হয়নি।
অভিযোগে প্রকাশ, গতকাল শুক্রবার (৯ জুন) দিবাগত রাতে স্বপ্নবিলাস রিসোর্ট থেকে এস আই আলা উদ্দিন ৩০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়। এর আগে গত (৬ জুন) রাতে এস আই আনোয়ার পাঠান এবং থানার ওসি তদন্ত সহ হোটেল হলি সিটি থেকে ৩জন লোককে গ্রেফতার করেন। পরে ২ জনকে কোর্টে প্রেরণ করলেও হোটেল ম্যানেজারকে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গত ৩ জুন এস আই আলা উদ্দিন টি লিপ রিসোর্ট হতে ওয়ারেন্ট এর কথা বলে রিসিভসন হতে ম্যানেজারকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যান। পরবর্তীতে ৩৫০০ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয় হয়। কিন্তু তার কোন ওয়ারেন্ট ছিলনা। হলি সিটি এবং টি লিপ রিসোর্টে দুটি হলো গুহ রোড অবস্থান
এস আই আনোয়ার পাঠান এস আই আলা উদ্দিন এই দুজনে নিয়মিত হোটেল রিসোর্টে আগত পর্যটকদের হয়রানি করে থাকে এবং এস আই রফিককে দিয়ে সকল প্রকার মাসোয়ারা উত্তোলন করা হয়। এস আই রফিক এই থানায় এ পর্যন্ত তিন বার চাকুরী করতেছেন। ওসি এস আই রফিকে এ এস আই এরশাদকে, এস আই আনোয়ার, কং সিদ্দিককে বদলি করে নিয়ে আসছেন এবং তার যতো ব্যক্তিগত কাজ হতে শুরু করে সব ধরনের অবৈধ কাজ করান ওসি। এক কথায় এরাই থানার ওসির অবৈধ আয়ের হাতিয়ার। এস আই আনোয়ার পাঠান ও দু’বার এই থানায় চাকুরী করতেছেন এবং ওসি জাহাঙ্গীর থানায় যোগদান করার পর হতে এই থানার আইন শৃঙ্খলা অবনতি ঘটেছে এটার কারণ হলো থানার মধ্যে গ্রুপিং তৈরি করে রাখা। এস আই রফিক এস আই আনোয়ার পাঠান এস আই রাকিবুল এ এস আই এরশাদ এদের সব রকম সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন যে কোন সময় থানায় অঘটন ঘটাতে পারে শুধু গ্রুপিং এর কারণে।
থানা পুলিশের এসকল হয়রানী নির্যাতন ও আটক বাণিজ্য বন্ধে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির আশুহস্থক্ষেপ কামনা করছেন এবং এসকল বন্ধ না হয়ে মালিক-ব্যসায়ীরা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের স্মরনাপন্ন হবেন। সেই সাথে তারা কঠোর আন্দোলনে ডাক দিবেন।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd