মাধবপুরে ঘুষ না দেওয়ায় ১ম হয়েও চাকরি হলো না মাসুমা’র

প্রকাশিত: ৩:০৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৩, ২০২৩

মাধবপুরে ঘুষ না দেওয়ায় ১ম হয়েও চাকরি হলো না মাসুমা’র

Manual3 Ad Code

মাধবপুর সংবাদদাতা: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার যোগেশ চন্দ্র স্কুল অ্যান্ড কলেজে চাকরির জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রথম হয়েও নিয়োগ পাচ্ছেন না মাসুমা আক্তার। অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে দুই লাখ টাকা ঘুষ না দেওয়ায় আয়া পদে তাকে চাকরি দেওয়া হচ্ছে না। বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন।

Manual1 Ad Code

 

জানা যায়, যোগেশ চন্দ্র স্কুল অ্যান্ড কলেজের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর, অফিস সহায়ক, পরিচ্ছন্নতা কর্মী নৈশ প্রহরী ও আয়ার শূন্যপদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয় ২৯ ডিসেম্বর। গত ২ এপ্রিল ওই পদ গুলির লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিনই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ঘোষিত ফলাফলে আয়া পদে ৪ প্রার্থীর মধ্যে মাসুমা প্রথম হন। ৫ সদস্যের নিয়োগ বোর্ড সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত মাসুমাকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন।

 

ওই দিন সন্ধ্যার পর প্রধান শিক্ষক নুরুল্লাহ ভুঞা মাসুমার মোবাইলে কল দিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। মাসুমা তার বৃদ্ধ বাবা তাজুল ইসলামকে নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বাসায় যান। সেখানে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নাছির উদ্দিন খানও উপস্থিত ছিলেন। প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিয়োগপত্র পেতে হলে দুই লাখ টাকা দাবি করেন।

 

Manual5 Ad Code

এদিকে গত ৬ এপ্রিল সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক গর্ভনিং বডির সভা ডেকে মাসুমাকে নিয়োগ না দেওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দেন। গর্ভনিং বডির সদস্যরা কারণ জানতে চাইলে তারা সদুত্তর দিতে পারেননি।

 

অভিভাবক সদস্য সৈয়দ শামসুল আরেফিন রাজিব জানান, ওইদিন সভায় উপস্থিত গর্ভনিং বডির ৬ জন সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে সভাস্থল ত্যাগ করেন।

 

বুধবার (১২ এপ্রিল) প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তারা উভয়ই ব্যস্ত আছেন; পরে কথা বলবেন বলে কল কেটে দেন। ঘণ্টা’দুয়েক পর তাদেরকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তারা কল রিসিভ করেননি।

 

Manual8 Ad Code

উল্লেখ্য যে, প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে অবিলিকৃত সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। গত ২৭ডিসেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় ‘মাধবপুরে সরকারি বই বিক্রি করে দিলেন প্রধান শিক্ষক – সভাপতি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।

 

মাধবপুর নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আহসান বলেন, মঙ্গলবার অভিযোগটি পেয়েছি। ওইদিনই তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তার প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তদন্তের জন্য কতদিন সময় দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন খুব তাড়াতাড়ি রিপোর্ট পেয়ে যাব।

Manual2 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

April 2023
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  

সর্বশেষ খবর

………………………..