সিলেট ১০ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৩৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক, গোয়াইনঘাট : গোয়াইনঘাট উপজেলা চারটি ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হলেও দলটি তা করেনি। বিদ্রোহী প্রার্থীদের স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়নি। বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হলেও দলীয়ভাবে বিষয়টিও আর এগোয়নি।
এবারের নির্বাচনে বিএনপিসহ অধিকাংশ দল অংশ গ্রহণ না করায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতিকের বিরুদ্ধে দলের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় সরকার দলীয় প্রার্থীরা দাপিয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে গেলেও পিছিয়ে নেই বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও।
যে কারণে এই নির্বাচনে উপজেলার ২টি ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীদের মূল প্রতিবন্ধকতা হবে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীদের এবং ২টি ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীদের সাথে বিএনপি ঘরানার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সাথে লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
সাধারণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ২টিতে নৌকা ও বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং ২টিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ঘরনার স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে মূল ভোট যুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
২ নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম। এই ইউনিয়নের জনমত জরিপে জানা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মুমিন মুন্সির সাথে দলীয় প্রার্থী নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। আবার কেউ কেউ বলছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মুমিনের সাথে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মামুন পারভেজের লড়াই হবে।
৩ নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থী নৌকা মার্কার রফিকুল ইসলাম। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান লেবু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হামিদুল হক ভূইয়া বাবুলের মধ্যে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। তবে কেউ কেউ বলছেন বর্তমান পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী হামিদুল হক ভূঁইয়া ও দলীয় প্রার্থী রফিকুল ইসলামের অবস্থান ভালো পর্যায় রয়েছে।
১১ নং মধ্য জাফলং ইউনিয়নে নির্বাচনের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত একক অবস্থান ধরে রেখেছিলেন দলীয় প্রার্থী নৌকা মার্কার ফারুক আহমদ। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী লোকমান হোসেন সিকদার। বর্তমান পর্যন্ত দলীয় প্রার্থী ফারুক আহমদ, বিদ্রোহী প্রার্থী লোকমান হোসেন শিকদার ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুর রহমানের অবস্থান সমানে সমান। তাই এই ইউনিয়নের সচেতন ও সাধারণ ভোটার নির্বাচনে প্রার্থীদের অবস্থানের হিসাব মিলাতে হিমশিম খাচ্ছেন।
১২ নং সদর ইউনিয়ন উপজেলার সকলের কাছে মধ্যমণি। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে আলাপকালে জানা যায়, দলীয় প্রার্থী নৌকা মার্কার সুভাস চন্দ্র পাল ছানা ও বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস মার্কার গোলাম রব্বানী সুমনের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। পাশাপাশি আলোচনায় রয়েছেন সাবেক অবিভক্ত পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ রহিম, কামাল আহমেদ। এছাড়াও চারটি ইউনিয়নের মধ্যে দুটি ইউনিয়নের ২ নং পশ্চিম জাফলং ও ১২ নং সদর ইউনিয়নের খেজুর গাছের প্রার্থীরাও জনগণের আলোচনায় রয়েছেন।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. নাসির উদ্দিন খান বলেন, উপজেলা কমিটিকে বলা হয়েছে বিদ্রোহীদের নামের তালিকা দেওয়া জন্য। আজ-কালকে ভিতর বিদ্রোহীদের লিস্ট আমাদের আসবে। তখনই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বিদ্রোহীদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না তাদেরকে বহিস্কার করা হবে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd