সিলেট ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:০৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ইজারা-বহির্ভূত জায়গা থেকে বালু তোলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন পাঁচ গ্রামের বাসিন্দারা। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার পূর্ব ইসলামপুর ইউনিয়নের রাজনগর পূর্ব পাড়া এলাকায় এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ইজারা-বহির্ভূত জায়গা থেকে বালু তোলায় পাঁচটি গ্রাম হুমকির মুখে পড়েছে। বালু তোলা বন্ধ না হলে পাঁচ গ্রামের প্রায় ৩৫ হাজার বাসিন্দা বসতভিটা হারাবেন। তাঁরা দ্রুত বালু তোলা বন্ধে প্রশাসনকে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অভিযান চালিয়ে ধলাই নদ-সংলগ্ন ঢালারপাড় এলাকা থেকে ইজারা-বহির্ভূতভাবে বালু তোলার অভিযোগে দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা আটক করা হয়েছে। প্রতিটি নৌকাকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নৌকায় শ্রমিকদের পাওয়া গেলেও মালিকদের পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুসিকান্ত হাজং।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন উপজেলার ঢালারপাড় এলাকার বাসিন্দা ফজলুল হক খন্দকার, আবদুল মোতালিব, মোহাম্মদ আলী, বিদ্যালয়ের শিক্ষক বরকত উল্লাহ স্বপন চৌধুরী, মোস্তাফা নগরের বাসিন্দা মো. বাবুল মিয়া, রাজনগর পূর্ব পাড়া গ্রামের বাসিন্দা হেলিম মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রায় দুই মাস ধরে ঢালারপাড় এলাকায় ইজারা-বহির্ভূত জায়গা থেকে বালু তোলা হচ্ছে। ইজারাদার ধলাই নদ থেকে বালু তোলার ইজারা নিলেও বিধিবহির্ভূতভাবে ঢালারপাড়ের চর এলাকা থেকে বালু তুলছেন। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রতিবাদ করলেও ইজারাদারের লাঠিয়াল বাহিনী তাঁদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেন।
বক্তারা আরও বলেন, ঢালারপাড়ের ওই চর স্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তির হলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেন না। এভাবে পরিকল্পিতভাবে চর কেটে ফেলায় পাঁচটি গ্রাম ঢালারপাড়, উত্তর ঢালারপাড়, দক্ষিণ ঢালারপাড়, রাজনগর, মোস্তফা নগর এলাকার বিভিন্ন মসজিদ, প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাজার, এতিমখানা, কবরস্থানসহ বিভিন্ন স্থান ধসে পড়ছে। ইজারাদার মো. মজির উদ্দিন স্থানীয় প্রভাবশালীদের নিয়ে বালু তুলছেন বলে তাঁরা অভিযোগ করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে ব্যাপারে ইজারাদার মো. মজির উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
মাঝেমধ্যে ইজারা-বহির্ভূত জায়গা থেকে বালু তোলার বিষয়টি স্বীকার করেছেন কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও লুসিকান্ত হাজং। তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসন সব সময় এ ব্যাপারে তৎপর থাকে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এলাকাবাসীর মানববন্ধনের খবর পাননি বলে জানান তিনি।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd