সিলেটে বিসিবি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ

প্রকাশিত: ৭:৪৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৯, ২০২২

সিলেটে বিসিবি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ

Manual4 Ad Code

ক্রাইম ডেস্ক :: সিলেটে চলছে ৮ম নারী এশিয়া কাপ। ০১ অক্টোবর থেকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় এই আসরের। খেলায় অংশগ্রহণ করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ৭টি দেশের নারী ক্রিকেটাররা। গুরুত্বপূর্ণ এই ক্রিকেট আসর নিয়ে গুরুত্ব নেই দায়িত্বশীলদের।

সিলেটের মাঠে ক্রিকেট মানে মাঠ ভরা দর্শক। টিকিট কেটেও দর্শক সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। কিন্তু এবার টিকিটবিহীন প্রবেশাধিকার থাকলেও শুরু থেকেই দর্শকশূন্য গ্যালারি। ক্রিকেটের স্থানীয় আয়োজকদের প্রচারণার অভাবে দর্শকরা মাঠমুখী হননি বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে, খেলা শুরু থেকেই একের পর এক সমালোচনামুখর হচ্ছে নারী এশিয়া কাপের আয়োজন। মাঠ থেকে প্রেসবক্স এমনকি সাংবাদিকদের জন্য খাবার নিয়েও বিরূপ মনোভাব প্রকাশ করেছেন সাংবাদিকরা। মাঠের ইউকেটের অবস্থা নিয়ে স্বাগতিক বাংলাদেশ নারী দলের কোচ এ কে এম মাহমুদ ইমন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, পাড়ার ‘মাঠেও এর চেয়ে ভাল পিচ থাকে। এরপরই ইউকেটের অবস্থা যাচাই করতে কিউরেটর নিয়ে আসা হয় চট্রগ্রাম থেকে। এমনকি স্টেডিয়ামের প্রবেশদ্বারে ময়লার ভাগাড় দেখে এবং অপরিচ্ছন্নতা দেখে ধারাভাষ্যকাররাও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে বাথরুম ও বেসিনের টেপ নষ্ট থাকায় সাংবাদিকদের অভিযোগের পর ঠিক করা হয়।

Manual7 Ad Code

সূত্র জানায়, এবারের এশিয়া কাপে অভিযোগ ওঠেছে আম্পায়ার ও সাংবাদিকদের খাবার নিয়ে। নামে বুফে খাবার থাকলেও নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে।

Manual5 Ad Code

জানা গেছে, খেলার সংবাদ সংগ্রহ থেকে বিরত রয়েছেন অনেক সংবাদকর্মী। তারপরও খালি নেই প্রেসবক্স। সংবাদ সংগ্রহ থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে সিলেটের মুল ধারার সংবাদকর্মীদের। যথাযথ নিয়মে আবেদন করলেও নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালের সংবাদকর্মী, টেলিভিশন সাংবাদিক ও ক্যামেরাপার্সনদের পাস কার্ড দেওয়া হয়নি। অথচ ভুঁইফোঁড় একাধিক পোর্টাল ও প্রিন্ট পত্রিকার সংবাদকর্মীদের হাতে হাতে প্রেসকার্ড দেখা গেছে। অনিয়ম শুধু এখানেই শেষ নয়, নির্ধারিত পত্রিকার হয়ে আবেদন করেও কার্ড ইস্যু হয়েছে অপর পত্রিকার নামে। আবার ইসলাম ধর্মাবলম্বী সংবাদকর্মীর ক্ষেত্রে কার্ড ইস্যু হয়েছে সনাতনী নামে। কর্মকর্তাদের এমন খামখেয়ালীপনা এবং দায়িত্বহীনতার বিষয়ে সিলেটের সংবাদকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ঢাকা পোস্টের সিলেট প্রতিনিধি মাসুদ আহমদ রনির ছবি সম্বলিত কার্ড ইস্যু হয়েছে ‘সাগর রায়’ নামে। ছবি ঠিক থাকলেও কর্মরত পোর্টাল দেখানো হয়েছে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘নিউজ চেম্বার।’ একই ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংবাদকর্মীর নামে ডাবল কার্ড ইস্যু হয়েছে।

Manual8 Ad Code

একই ভাবে নিউ নেশন পত্রিকার সিলেট প্রতিনিধি শফি আহমদকে দেখানো হয়েছে ডিবিসি নিউজ-এর সংবাদকর্মী। নিউজ ওয়ার্ল্ড নামের আরও একটি অনলাইনের নামে পাসকার্ড ইস্যু হয়েছে। ওই পাসকার্ডে বাহকের নাম আলমগীর হোসেন। যিনি একজন ফুল বিক্রেতা।

অভিযোগ রয়েছে, প্রতিবার আন্তর্জাতিক ম্যাচেও অন্তত স্থানীয়, জাতীয়, অনলাইন, টেলিভিশন মিডিয়া, ক্যামেরা পার্সন ও ফটো জার্নালিস্ট মিলিয়ে অন্তত শতাধিক কার্ড ইস্যু হয়। কিন্তু এবার সিটিএসবি’র তদন্তের দোহাই দিয়ে পাস কার্ড সীমিত রাখা হয়। এ নিয়ে কারণ জানতে চাইলে সংশ্লিষ্টরা গোয়েন্দা সংস্থার দোহাই দেন। অথচ জামাতি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে পাস কার্ড। এছাড়া চরম কড়াকড়ির অজুহাত থাকলেও যুবলীগ, ছাত্রলীগ, ছাত্রদল ও বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্তদেরও দেওয়া পাস কার্ড। যারা নিদেদের দায়িত্ব সম্পর্কেও কিছুেই বলতে পারে না।

প্রেসকার্ড ইস্যুর বিষয়ে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের স্থানীয় মিডিয়া ম্যানাজার ফরহাদ কোরেশি বলেন, প্রেসকার্ড ইস্যূ করার সময়কে নিবন্ধিত এবং কে অনবন্ধিত পোর্টালে কাজ করেন, তা বিবেচনা করার সময় নেই।একজন ফুল বিক্রেতার নামে কিভাকে কার্ড ইস্যূ করা হয়-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এতোবড় আসরে কিছুটা ভুল থাকা অস্বাভাবিক কিছু নয়। ঢাকা পোস্ট প্রতিনিধি’র নাম মাসুদ আহমদ রনি থেকে ‘সাগর রায়’(কার্ড নং-১১৬১) হয়ে গেল কিভাবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি ক্ষেপে গিয়ে বলেন, ‘আপনার কার্ড কার কাছে জমা দিয়েছিলেন? আপনি পরবর্তীতে কার্ড জমা দিলে আমার সাথে যোগাযোগ করে দিয়ে যাবেন।’

এ সময় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্র্যান্ড ম্যানেজার জয়দ্বীপ দাসের মোবাইল নাম্বার চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, জয়দ্বীপকে কেন? আপনার যা বলার আমাকে বলেন। আমিই বিষয়টি দেখি। জয়দ্বীপ এখানে কি করবে?

তাহলে বিসিবি’র দায়িত্বশীল কার সাথে এর জবাব পাওয়া যাবে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি রাবিদ ইমাম নামের এক কর্মকর্তার নাম বলেন। তবে রাবিদ ইমামের মোবাইল নাম্বার চাইলে, ফরহাদ কোরেশি জানান, ‘রাবিদ ইমাম এখন নিউজল্যান্ডে আছেন।

এদিকে, খাবার নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের কয়েকজন বলেন, একটি ইন্টারন্যাশনাল ম্যাচে সাংবাদিকদের জন্য ফুটপাতের খাবার রাখা হয়েছে। নিম্নমানের খাবার দিয়ে নাম দেওয়া হয়েছে বুফে সিস্টেম। কর্মচারিদের দিয়ে এই খাবার নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।তাছাড়া মিডিয়া বক্সে অবাঞ্ছিত লোকদেরও কার্ডের বিপরীতে খাবার খেতে দেখা যায়।

Manual6 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..