হেলালের বিরুদ্ধে হাসিনার মামলা : ফরেন্সিক রিপোর্ট নেগেটিভ, তবুও আদালতে চার্জশিট

প্রকাশিত: ৭:৫৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৫, ২০২২

হেলালের বিরুদ্ধে হাসিনার মামলা : ফরেন্সিক রিপোর্ট নেগেটিভ, তবুও আদালতে চার্জশিট

Manual2 Ad Code

ক্রাইম প্রতিবেদক :: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।এ আইনে মামলার মূল উপাদান ব্যবহৃত ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও পোস্টেগুলোর স্ক্রীণশটের ফরেন্সিক পজিটিভ রিপোর্ট। এই রিপোর্ট মামলার অভিযোগের পক্ষে না হলে আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল হয় না। কিন্তু আলোচিত একটি মামলার ক্ষেত্রে সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ ‘ফরেন্সিক রিপোর্ট নেগেটিভ’ হওয়া সত্বেও চার্জশিট দিয়েছে আসামীর বিরুদ্ধে । অজ্ঞাত শক্তির প্রভাবে এ চার্জশিট প্রদান করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভা এলাকাধীন রেহানা ভিলার বর্তমান বাসিন্দা সাহেদ আহমদের স্ত্রী ও তৎকালীন সিলেট জেলা পরিষদ সদস্য হাসিনা বেগম ২০২১ সালের ২০ মে গোলাপগঞ্জ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। যা থানার মামলা নং ২০(৫)২১, ধারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১। মামলায় তিনি আসামী করেন গোলাপগঞ্জ থানার উপর বারকোট গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নানের পুত্র প্রবীণ সাংবাদিক হেলাল আহমদ চৌধুরীসহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জনকে।

Manual8 Ad Code

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০২১ সালের ১ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত এবং তৎপরবর্তী বিভিন্ন সময়ে হেলাল আমদ চৌধুরী তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক আইডি (Helal Ahmed Chowdhury ID Link: https://www.facebook.com/profile: php?id=100060365792867) থেকে হাসিনা বেগম ও তার ঘনিষ্টজনদের বিরুদ্ধে মানহানীকর ও নানা কুরুচিপূর্ণ একাধিক পোস্ট করে এমনকি তার নাম বিকৃত করে তাকে ‘পার্লার হাসিনা’ আখ্যায়িত করেছেন। মামলা রুজুর পর তদন্তভার দেওয়া হয় থানার এসআই ফয়জুল করিমকে। দায়িত্ব পেয়ে এসআই ফয়জুল করিম মামলার তদন্ত কাজ শুরু করেন।

খবর পেয়ে হেলাল আহমদ চৌধুরী মহামান্য হাইকোর্ট থেকে সাময়িক জামিন গ্রহণ করেন এবং মহামান্য হাইকোর্টে আদেশে একই বছরের ৩ নভেম্বর সিলেটস্থ সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির হলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। কারাগারে থাকাবস্থায় আদালতের অনুমতি পেয়ে তাকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদও করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। দুই মাসের অধিককাল কারাবরণের পর আবারো হাইকোর্টের আদেশে জামিন পান হেলাল আহমদ চৌধুরী। কারাগরে ও জামিনে থাকাবস্থায় তদন্ত কর্মকর্তা হেলাল আহমদ চৌধুরীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও মামলা সংশ্লিষ্ট ফেইসবুক আইডির পোস্টগুলো জব্দ করেন এবং এগুলোর অত্যাবশ্যকীয় ফরেন্সিক টেস্ট করে রিপোর্ট প্রদানের জন্য ঢাকাস্থ সিআইডির আইটি ফরেন্সিক বিভাগে প্রেরণ করেন।

Manual2 Ad Code

ল্যাবে পরীক্ষাকালে পরীক্ষক সিআইডি আইটি ফরেন্সিক এর উপ-পুলিশ পরিদর্শক উজ্জল রাজবংশী Helal Ahmed Chowdhury ID Link: https://www.facebook.com/profile: php?id=100060365792867 লিংক এর ফেইসবুক আইডির টাইমলাইনে মামলা সংশিষ্ট স্ক্রীনশট পোস্টগুলোর কোনো একটিও উক্ত আইডির টাইমলাইনে পাননি বলে ২৩.০৮.২০২২ তারিখে নেগেটিভ রিপোর্ট প্রদান করেন। মামলার মূল উপাদান ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও পোস্টের স্ক্রীণশটের ফরেন্সিক রিপোর্ট নেগেটিভ থাকা সত্বেও তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফয়জুল করিম ২৫.০৮.২০২২ খ্রি, তারিখে এই মামলায় আদালতে ‘অন্তঃসারশূন্য ও হয়রানীমূলক’ একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে দণ্ডবিধি আইনের মামলার ন্যায় একমাত্র মৌখিক কতিপয় সাক্ষীর ১৬১ ধারার সাক্ষ্যের ভিত্তিতে সাংবাদিক হেলাল আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/২৯/৩১ ধারায় চার্জশিট প্রদান করেন। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সম্পূর্ণ অপব্যবহার ও অপপ্রয়োগ বলে অভিহিত করেছেন সাংবাদিক হেলাল আহমদ চৌধুরী ও তার ঘনিষ্টজনরা।

Manual5 Ad Code

অভিযোগ রয়েছে, সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার তৎকালীন ওসি মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ অভিযোগের প্রাথমিক তথ্যের কোনো সত্যতা যাচাই না করেই অজ্ঞাত কারণে মামলাটি রুজু করে ফেলেন। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফয়জুল করিম অজ্ঞাত কারণে আইন ও মূল উপাদান ছাড়াই এ মামলায় চার্জশিদ দিয়ে কর্তব্য কাজে চরম অবহেলা করেছেন। এ ব্যাপারে সাংবাদিক হেলাল আহমদ চৌধুরী বাংলাদেশ পুলিশের শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Manual8 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..