সিলেটে সুন্দরী হেপির প্রেমের প্রতারণায় সর্বত্র হারালেন লন্ডন প্রবাসী

প্রকাশিত: ৫:১৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০২২

সিলেটে সুন্দরী হেপির প্রেমের প্রতারণায় সর্বত্র হারালেন লন্ডন প্রবাসী

Manual5 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ইফাত আরা হেপী চেহারায় রয়েছে সৌন্দর্যের প্রভাব, আর সেই প্রভাবেই প্রভাবিত হয়ে প্রেমে পড়ে যান ফয়েজ আহমেদ। অবশেষে সেই প্রেম নিঃস্ব করে দেয় ফয়েজ আহমেদকে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি সেই প্রতারক হেপীর, বর্তমানে হেপী রয়েছে কারাগারে।

Manual6 Ad Code

ঘটনার সূত্রপাত ২০০৮ সালের জানুয়ারী মাসে, প্রতারক ইফাত আরা হেপির নানাবাড়ি প্রতারণার স্বীকার ফয়েজ আহমেদ’র বাড়ি পাশাপাশি ঘর হওয়ায় নানাবাড়িতে যাওয়া আসার সুবাদে দেখা সাক্ষাৎ হলে এক সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। অই সময়েই ২০০৮ সালের জুন মাসে ভিজিটে লন্ডনে পাড়ি দেন ফয়েজ আহমেদ।

তবে থেমে থাকে নি তাদের প্রেমের প্রণয়, ফয়েজ আহমেদকে বিদায় দেওয়ার সময় হেপি প্রতিশ্রুতি দেন অন্যকাউকে বিয়ে করবেন না। ফয়েজ লন্ডনে চলে যাওয়ার পর হেপির পরিবারও তাদের বিষয়ে অবগত হন। এদিকে লন্ডন যাওয়ার ৬ মাস্ পর ভিসার মেয়াদ চলে যাওয়ায় ই-লিগ্যাল হয়ে যান ফয়েজ এমতাবস্থায় দেশে আসা সম্ভব না থাকায় উভয় পরিবারের সম্মতিতে ২০১২ সালের ৮ই এপ্রিল মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ১৫ লক্ষ টাকা দেনমোহর এবং ১০ বরি স্বার্ণালংকার প্রদানের মাধ্যমে আকদ সম্পন্ন হয়। এর পর থেকে ভিবিন্ন সময়ে ২৮লক্ষ ১৬ হাজার টাকা হেপির কাছে পাঠান। উক্ত লেনদেনের প্রমানাদিও রয়েছে।

তবে হঠাৎ করেই কাল বৈশাখীর মতো ঝড় নেমে আসে ফয়েজ আহমেদের জীবনে। প্রবাস জীবনের কস্টকে আর দিগুন করে দেয় অন্তিম বিশ্বাস করে যাকে বিয়ে করে সর্বোচ্চ দিয়েছিলেন। সেই হেপির প্রতারণা। উপরোক্ত সম্পর্ক এবং আর্থিক লেনদেন থাকার পরও গত ১৮ ই নভেম্বর ২০২১ সালে হেপির মতামতের ভিত্তিতেই অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেন হেপির পরিবার।

Manual3 Ad Code

এ বিষয়টি জানার পর ফয়েজ আহমেদ হেপির পরিবারের সাথে যোগাযোগ করলে উল্টো আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যান তারা একপর্যায়ে ফয়েজ তার প্রদানকৃত টাকা ফেরত চাইলে হেপির পরিবার বিষয়টি অস্বিকার করেন। এবিষয়ে ফয়েজ এর পরিবার এর পক্ষ থেকে আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করতে চাইলে এতে কোন আগ্রহ দেখান নি হেপি এবং হেপির পরিবার।

Manual7 Ad Code

অবশেষে ফয়েজ আহমেদের বড় বোন সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদলতে গত ২৯ই ডিসেম্বর মামলা দায়ের করেন মামলা নং-জি আর ১৬। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ই জানুয়ারী আম্বরখানা বড় বাজার নতুন স্বামী মিজানুর রহমান (৩০) পিতা মামুনুর রহমান এর বাসা থেকে স্বামী সহ প্রতারক হেপিকে গ্রেফতার করে কতোয়ালী থানা পুলিশ।

সর্বশেষ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গতকাল ৭ জানুয়ারী আদালতে প্রেরণ করা হলে ম্যাজিসট্রেট এম এম সাইফুর রহমান শুনানি শেষে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীর চাওয়া জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্ররেণ করা নির্দেশ দেন।

Manual1 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

January 2022
S S M T W T F
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  

সর্বশেষ খবর

………………………..