সিলেট ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০২১
জৈন্তাপুর সংবাদদাতা :: জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের গুয়াবাড়ী, কমলাবাড়ী ও উজানীনগর এলাকায় পাহাড়, টিলা কাটা অব্যহত রয়েছে।
স্থানীয় একটি মহল প্রতিনিয়ত এসব পাহাড় টিলা থেকে পাথর উত্তোলন করে বিক্রয় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাগন এসব পাহাড়, টিলা শ্রেনীর ভূমিতে কাঠাল, তেজপাতাসহ নানা প্রজাতির লেবু চাষ ও উৎপাদন কাজ জড়িত রয়েছেন।
স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল সরকারী পাহাড় ও টিলার কেটে বসতবাড়ী নির্মাণসহ পাহাড় শ্রেনীর ভূমি ক্রয় বিক্রয় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
এসব পাহাড় টিলা কাটার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তর অনেকটা নিরব ভূমিকা পালন করছেন। জৈন্তাপুরে পাহাড় ও টিলা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এগিয়ে না আসলে ভবিষ্যতে পরিবেশ বিপর্যয় মূখে পড়বেন স্থানীয় বাসিন্দাগণ।
সম্প্রতি সরেজমিন গুয়াবাড়ি-কমলাবাড়ি এলাকা পরিদর্শন করে দেখা গেছে, অতীতে উপজেলা প্রশাসন এসব এলাকার পাহাড় টিলা কর্তন এবং পাথর উত্তোলনের উপর কড়া নিষেদাজ্ঞা দিয়েছিলেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে গুয়াবাড়ি এলাকায় সরকারী আদের্শ সংক্রান্ত বিষয়ে সাইনবোর্ড দিয়ে সর্তকতা জারি করা হয়েছিল। সম্প্রতি সরকার ভূমিহীন মানুষের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজের নাম ব্যবহার করে প্রভাবশালী এই মহল গুয়াবাড়ি সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার অনেক পাহাড় টিলা কর্তন চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় একটি মহল জনগুরুত্বপূর্ণ এসব পাহাড় কর্তন করে পাথর বিক্রয় কাজ অব্যাহত রাখছে। এসব পাহাড় টিলা কাটার বিষয়ে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তর অনেকটা নিরব ভূমিকা পালন করছেন। অথচ বিগত ৩/৪ মাস পূর্ব উপজেলা প্রশাসন পাহাড়-টিলার পাথর উত্তোলন কাজ বন্ধ করতে শক্ত ভূমিকা নেন। বিভিন্ন সময়ে অভিযান পরিচালনা করে অনেক পাথর গাড়ি জব্দ করেন। গত কয়েকদিন পূর্বে গুয়াবাড়ী এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসাবে নির্মাণ করা ঘর দেখতে জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আসলাম উদ্দিনসহ স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ এসব এলাকা পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রশাসনের অনেকে কর্মকর্তাগণ এসব এলাকা পরিদর্শন করার পর ও কিভাবে গুয়াবাড়ির পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে পাহাড়-টিলা কর্তন ও অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন কাজ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত আজমেরী হক বলেন, আমি বিষয়টি খোজঁ নিয়ে দেখতেছি এবং সরেজমিন পরিদর্শন করে ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করে পাথর ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd