সিলেট ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:১১ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৯, ২০২১
দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি :: সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে কঠোর লকডাউনে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কিস্তি আদায়ে তৎপর রয়েছে বিভিন্ন এজিও কর্মীরা। ঋণ আদায়ের চাপে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন বেকার, কর্মহীন নিম্ন ও মধ্য আয়ের ঋণগ্রহীতারা। তাদের অধিকাংশই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দিনমজুর। এছাড়াও বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ইজিবাইক, থ্রি-হুইলার, ভ্যান ইত্যাদি কিনে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন করেন অনেকে। কিন্তু ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে চলমান কঠোর লকডাউনে তাদের আয়ের উৎস বন্ধ থাকলেও বন্ধ নেই এনজিও মাঠকর্মীদের কিস্তি আদায়ের মহা উৎসব।
উপজেলার নরসিংপুর, সুনাইত্যা, ঘিলাছড়া, পূর্বচাইরগাঁওসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ভু’ক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, এখন আমাদের পরিবারের খাবার জোগাড় করাই কঠিন। তারপর এনজিওকর্মীরা মামলার ভয় দেখিয়ে কিস্তি আদায় অব্যাহত রেখেছে। একই অবস্থা বিরাজ করছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়ও। নরসিংপুর গ্রামের ফারুক মিয়া জানান, আমি ব্র্যাক ব্যাংক, মোল্লাপাড়া শাখা থেকে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে কৃষিকাজে জোগান দিয়েছি।
কিন্তু ভয়াবহ কোভিড-১৯ এর সংক্রমন রোধে লকডাউনে কাজকর্ম না থাকায় এ মুহুর্তে ঋণের কিস্তি দেওয়াতো দুরের কথা পরিবারের সদস্যদের দুমুঠো অন্নই যোগাতে পারছিনা। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকালে কিস্তি দিতে না পারায় ব্র্যাক ব্যাংক, মোল্লাপাড়া শাখার কর্মকতা নিপেন্দ্র বাবু অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। বাকবিতন্ডা শোনে এসময় প্রতিবেশিদের হস্তক্ষেপে আজকের মতো হাফ ছেড়ে বাঁচি।
পূর্বচাইরগাঁও গ্রামের খলিল মিয়া বলেন, আমি ঋণ নিয়ে একটি ইজিবাইক কিনেছি, লকডাউনের কারণে পরিবহন বন্ধ থাকায় কিস্তি চালানো দূরের কথা, স্ত্রী-সন্তানদের একবেলা খাবারই জুটছেনা। এনজিওকর্মীরা এসে ঋণের কিস্তি আদায়ে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে, টাকা না দিলে তার তাদের ইচ্ছেমতো মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যাবে। হরহামেশাই তাদের এ আচরণে ঋণের চাপে আমরা ঋণগ্রহিতারা বড়ই বিপাকে পড়েছি।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের জনৈক মাঠকর্মী জানান, কিস্তির টাকা আদায়ে প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত কিস্তি আদায় করে অফিসে জমা না দিলে আমাদের ও বেতন বন্ধ হবে, এমনকি চাকরি ও হারাতে পারি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ জানান, করোনার এই পরিস্থিতিতে ১ জুলাই হতে লকডাউনের কারণে এনজিওকর্মীদের ঋণ আদায় পরবর্তী ঘোষনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সরকারি আইন অমান্য করে কোনো এনজিওকর্মী যদি ঋণ নিতে আসে উপযুক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd