সিলেটের দেহ ব্যবসায়ী হালিমার বাসা থেকে গোয়াইনঘাটের শিশুকন্যা উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

প্রকাশিত: ১১:২৭ অপরাহ্ণ, জুন ৪, ২০২১

সিলেটের দেহ ব্যবসায়ী হালিমার বাসা থেকে গোয়াইনঘাটের শিশুকন্যা উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

Manual4 Ad Code

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের কচুয়ার পার গ্রামের ৯ বছর বয়সী শিশুকন্যা নিখোঁজ হয়েছিল গত ঈদুল আজহার ৩ দিন আগে। এ বিষয়ে ওই শিশুর পিতা গোয়াইনঘাট থানায় প্রথমে সাধারণ ডায়েরি ও পরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

Manual7 Ad Code

প্রায় একবছর পর অবশেষে ওই শিশুকন্যাটিকে উদ্ধার করেছেন গোয়াইনঘাট থানাধীন সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. শফিকুল ইসলাম খান।

Manual5 Ad Code

এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলার তোয়াকুল ইউনিয়নের পূর্ব পেকেরখাল গ্রামের বতাই মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেনকে অভিযুক্ত করে গোয়াইনঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিখোঁজ জনৈক ৯ বছর বয়সী শিশু কন্যার পিতা।

এছাড়া ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের কচুয়ার গ্রামের হারিয়ে যাওয়া ৯ বছর বয়সী শিশু কন্যার সন্ধানে গোয়াইনঘাট থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন শিশু কন্যার পিতা। অভিযোগ ও জিডির সূত্র ধরে গোয়াইনঘাট থানাধীন সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. শফিকুল ইসলাম খান শিশুকন্যাটির সন্ধানে দীর্ঘদিন ধরে নানা কৌশল অবলম্বন করেন।

জানা যায়, নিখোঁজ শিশুটি এক পর্যায়ে কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার লাকসাম গ্রামের হালিমা বেগম নামের এক দেহব্যবসায়ীর হাতে পড়ে। হালিমা সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহস্থ অনামিকা ৬২ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকেন। হালিমা বেগম তুলে দেন খদ্দের বিয়ানীবাজার উপজেলার বাড়ইগ্রামের সুরুজ আলী ছেলে জসিম উদ্দিনের হাতে। জসিম উদ্দিন ওই ৯ বছর বয়সী শিশু কন্যাকে নিয়ে সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহর এলাকার গুলবাহার হোটেলের ৫ম তলার ৫০৫ নাম্বার কক্ষে শিশু কন্যাকে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে।

ওই দিন কৌশলে শিশুকন্যাটি তার পিতার মোবাইলে ফোন করে। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গোয়াইনঘাট থানাধীন সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. শফিকুল ইসলাম খান সংঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩ জুন) দিবাগত-রাত থেকে সিলেট শহর ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের সহযোগীতায় জসিম উদ্দিনকে আটক করেন। জসিম উদ্দিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিলেট শহরের উপশহরস্থ গুলবাহার হোটেলের ম্যানেজার জকিগঞ্জ উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর ছেলে ওয়াজিদ আলীকে আটক করেন।

Manual1 Ad Code

জসিম উদ্দিন ও ওয়াজেদ আলীকে আটকের পর শিশু কন্যাটিকে না পেয়ে তারা উভয়ের সহযোগিতা নিয়ে দেহ ব্যবসায়ী হালিমা বেগমকে মোবাইলে ওই শিশু কন্যাকে ৫ হাজার টাকায় চুক্তি করেন। হালিমা বেগম ৫ হাজার টাকার চুক্তি মোতাবেক শিশু কন্যাটিকে নিয়ে হোটেল গুলবাহারে যান। এসময় পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা পুলিশ দল হালিমাকে গ্রেপ্তার করে এবং শিশু কন্যাকে উদ্ধার করে।

Manual5 Ad Code

এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল আহাদ বলেন, গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দীরগাঁও ইউনিয়নের কচুয়ার পার গ্রামের ৯ বছরের একটি শিশু নিখোঁজ হয়েছিল। শিশুটির পিতা প্রথমে গোয়াইনঘাট থানায় একটি জিডি ও পরে লিখিত অভিযোগ করেন। এরই সূত্র ধরে গোয়াইনঘাট থানাধীন সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. শফিকুল ইসলাম খান শিশুটিকে উদ্ধার করেন এবং জড়িতদের গ্রেফতার করেন।

বর্তমান এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং ভিকটিমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসি পাঠানো হয়েছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..