প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছেন চাঁদপুরের ৯৭ নারী-কিশোরী, নেপথ্যে স্মার্টফোন

প্রকাশিত: ১:০৮ পূর্বাহ্ণ, জুন ১, ২০২১

প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছেন চাঁদপুরের ৯৭ নারী-কিশোরী, নেপথ্যে স্মার্টফোন

Manual7 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : চাঁদপুরে গত কয়েক মাসে পরকীয়া এবং প্রেমের টানে ৯৭ জন নারী ও কিশোরী ঘর ছেড়েছেন। এরমধ্যে শুধু মে মাসেই ৩০ জন কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। নিখোঁজদের বেশিরভাগই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত চাঁদপুর মডেল থানায় ৯৭ জন নারী ও কিশোরী নিখোঁজের ঘটনায় জিডি হয়েছে। এদের অধিকাংশই প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। প্রিয় সন্তানের নিখোঁজের খবরে হতাশাগ্রস্ত অনেক বাবা-মা।

Manual3 Ad Code

কয়েকজন অভিভাবক জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সুযোগে পড়ালেখার চাপ কম থাকায় শিক্ষার্থীরা প্রেমের সম্পর্কে বেশি জড়াচ্ছে। বখাটে ছেলেদের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানার পর মেনে না নেওয়ার কথা বললেই সুযোগ বুঝে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যায়। কেউ কেউ পুলিশের সহযোগিতা এবং পারিবারিক উদ্যোগে সন্তানদের খুঁজে বের করেছেন। অনেক অভিভাবক কন্যার অবস্থান জানতে পারলেও আইনি জটিলতা, সামাজিক সম্মানহানি, পারিবারিক অসমতা এবং ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে ফিরিয়ে আনতে নারাজ।

থানা সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রী নিখোঁজ হওয়ায় অভিভাবকরা থানায় জিডি করেছেন। এরমধ্যে অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির কিশোরী বেশি। পাশাপাশি পরকীয়া ও পারিবারিক কলহের জেরে অনেক নারী ঘর ছেড়েছেন। তাদের স্বামী থানায় নিখোঁজের জিডি করেছেন।

Manual6 Ad Code

তবে নিখোঁজদের অনেকেই পরিবারের কাছে ফিরে এসেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। মে মাস পর্যন্ত ৯৭ জন নারী ও কিশোরীর নিখোঁজের ব্যাপারে থানায় জিডি করা হয়েছে। এরমধ্যে শুধু মে মাসেই সর্বোচ্চ ৩০ জন কিশোরী নিখোঁজের বিষয়ে জিডি করা হয়েছে।

চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ বলেন, সোমবারও (৩১ মে) দুই কিশোরী নিখোঁজের জিডি হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করছি।

Manual6 Ad Code

তিনি বলেন, মোবাইল ফোনে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া কিশোরীরা ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে। এছাড়া অনেক বিবাহিত নারী স্বামী বিদেশে থাকায় অন্যজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছেন। হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছেন তারা।

ওসি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে অনেক অভিভাবক ছেলে-মেয়েদের হাতে মোবাইল তুলে দিয়েছেন। তারা মনে করেন সন্তানরা অনলাইনে ক্লাস করে। আসলে তা নয়। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সন্তানরা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। এজন্য অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে। ছেলেমেয়েরা কখন কি করে, কোথায় যায় সব খবর রাখতে হবে।

Manual3 Ad Code

ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল ও গণপরিবহন চালু হওয়ার পর থেকে জেলা থেকে অন্যত্র যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। এ কারণে বিভিন্ন স্থানে যাওয়া এবং যোগাযোগ সহজ হয়েছে। এ সুযোগে কিশোরী-তরুণীরা বাড়ি থেকে চলে যাচ্ছেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..