ঘুষ না পেয়ে বাংলাদেশিকে ভারতীয় সাজিয়ে গ্রেফতার, এসআই বদলি

প্রকাশিত: ১:০৫ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২১

ঘুষ না পেয়ে বাংলাদেশিকে ভারতীয় সাজিয়ে গ্রেফতার, এসআই বদলি

Manual1 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ঘুষের টাকা না পেয়ে ভারতীয় নাগরিক বানিয়ে এক বাংলাদেশিকে জেলহাজতে পাঠানোর ঘটনায় সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ থানার এসআই জিয়ারত হোসেনকে বদলি করা হয়েছে।

শনিবার তিনি নতুন কর্মস্থল পাটকেলঘাটা থানায় যোগদান করেছেন। তবে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ বলছে তিনি স্বাভাবিক বদলি হয়েছেন।

Manual4 Ad Code

গত ১৬ এপ্রিল রাতে কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক জিয়ারত হোসেনসহ কয়েকজন সাদা পোশাকের পুলিশ উপজেলার ড্যামরাইল গ্রামের মনোরঞ্জন মণ্ডলের বাড়িতে এসে তক্ষক বিক্রি, গাঁজা বিক্রি ও পরে জুয়া খেলার অভিযোগ এনে মনোরঞ্জন ও তার ছেলে সরোজিতের হাতে হাতকড়া পরান।

খবর পেয়ে মনোরঞ্জনের শ্যালক ইউপি সদস্য প্রশান্ত হালদার মোটরসাইকেলে তাদের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলে তাকেও মাদক দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন এসআই জিয়ারত হোসেন।

Manual6 Ad Code

স্থানীয় লোকজনও পুলিশের হুমকিতে তাদের বাড়িতে আসতে পারেননি। একপর্যায়ে প্রশান্তর সঙ্গে থাকা দেবেন ও সুভাষ মণ্ডলকে রাস্তা থেকে ধরে এনে তাদের হাতকড়া পরিয়ে মনোরঞ্জনের বাড়িতে রাখা হয়।

ওই বাড়িতে বেড়াতে আসা আত্মীয় শ্যামনগরের কাঁচড়াহাটি গ্রামের কমলেশ মণ্ডলকে ঘর থেকে বের করে নানা প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে পুলিশ। এ সময় মনোরঞ্জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

চারজনকে ছেড়ে দিতে মেম্বার প্রশান্ত হালদারের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন উপ-পরিদর্শক জিয়ারত হোসেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মেম্বারের মোটরসাইকেলসহ জিয়ারত আলী সরোজিত, কমলেশ, দেবেন ও সুভাষকে থানায় নিয়ে যান।

Manual4 Ad Code

পরদিন সকালে ৮০ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রশান্ত মেম্বরের মোটরসাইকেলসহ তিনজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কমলেশের স্মার্টকার্ড নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান ও উপপরিদর্শক জিয়ারত আলীকে দেখালেও ২০ হাজার টাকা দিতে না পারায় কমলেশকে ভারতীয় নাগরিক বানিয়ে শনিবার মামলা দিয়ে জেলে পাঠায় পুলিশ।

পরে ১৫ হাজার টাকা দিয়ে কমলেশকে দুর্বল ধারায় চার্জশিট দেবেন বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জিয়ারত হোসেন। গত বৃহস্পতিবার কমলেশ বিচারিক হাকিম আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। এর পরই উপপরিদর্শক জিয়ারত হোসেনকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়।

তবে উপপরিদর্শক জিয়ারত বলেন, কোনো অনিয়ম দুর্নীতির কারণে নয়, বেশিদিন কালীগঞ্জ থানায় থাকায় তাকে স্বাভাবিক নিয়মে বদলি করা হয়েছে।

জানতে চাইলে শনিবার সকালে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দোলোয়ার হোসেন জানান, স্ট্যান্ড রিলিজ নয়, জিয়ারত হোসেনকে স্বাভাবিক বদলি করা হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে ড্যামরাইলের ঘটনার তদন্ত চলছে।

Manual7 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..