বিশ্বনাথে গৌছ বাহিনীর কাছে অসহায় দক্ষিণ মিরেরচর গ্রামবাসী

প্রকাশিত: ৬:৩৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ২২, ২০২১

বিশ্বনাথে গৌছ বাহিনীর কাছে অসহায় দক্ষিণ মিরেরচর গ্রামবাসী

Manual8 Ad Code
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: গরু চুরি ও চোরদেরকে আশ্রয়-প্রশয় দেওয়ার কাছে বাঁধা প্রদান করায় সিলেটের বিশ্বনাথ পৌর এলাকার দক্ষিণ মিরেরচর গ্রামবাসী গৌছ আলী গংদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছেন ও গ্রামবাসী নিজেদের সামাজিক অধিকারটুকু হারাতে বসেছেন। তাই গৌছ আলী গংদের মিথ্যা হয়রাণী থেকে গ্রামাবাসী রক্ষা পেতে ও এব্যাপারে কার্যক্রর প্রদক্ষেপ গ্রহনের দাবীতে গ্রামের ১০৫ জন ব্যক্তি সম্প্রতি সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে নিজেদের স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
স্মারকলিপিতে গ্রামবাসী উল্লেখ করেছেন, দাঙ্গাবাজ-পরধনলোভী ও চরিত্রহীন পরিবারের সদস্য হওযার কারণে পৌর এলাকার দক্ষিণ মিরেরচর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী গৌছ আলী, তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও কন্যা রিমা বেগম সংঙ্গবদ্ধভাবে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বয়বৃদ্ধ ও স্কুল-কলেজে পড়–য়া শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সের লোকজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা অজুহাতে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে এবং ‘মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশ’-এর মাধ্যমে নোটিশ পাটিয়ে হুমকি প্রদান ও হয়রাণী করিতেছে। গৌছ-রোকেয়া দীর্ঘদিন ধরে তাদের বাড়িতে এলাকার চিহিৃত বখাটে ও নষ্ট প্রকৃতির লোক নিয়ে এসে এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার কাজে লিপ্ত রয়েছে এবং গরু ব্যবসায়ী গৌছ আলীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে গরু চুরি ও চোরদের আশ্রয়-প্রশয় দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে এলাকাবাসী। গ্রামবাসী গৌছ আলী গংদের এসব কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা গ্রামবাসীর অনুরোধ না শুনে উল্টো এলাকার নিরীহ লোকজনকে মামলা-হামলার হুমকি দেয় এবং তাদের কথামতো ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশ’ও থানায় বিভিন্ন হয়রাণীমূলক অভিযোগ দেয়। বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ইতিপূর্বে সরেজমিন এসব অভিযোগের তদন্ত করলে গৌছ-রোকেয়া গংদের অভিযোগগুলোর সত্যতা পায়নি। তাই এসব অভিযোগগুলো মিথ্যা ও হয়রাণীর উদ্দেশ্যে করা হয়েছে মর্মে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করে পুলিশ। এলাকার নিরীহ মানুষের পাশাপাশি গৌছ আলী গংদের কুচক্রের জাল থেকে রক্ষা পাননি থানার একজন এএসআই ও বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয়-নন্দিত মেম্বারও। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির কাজে লিপ্ত থাকা এলাকার কিছু বখাটে ও নষ্ট প্রকৃতির লোকজনের আশ্রয়-প্রশয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের অনুরোধ অমান্য করে গরু ব্যবসায়ী গৌছ আলী গংরা এলাকায় এসব অপকর্ম করে যাচ্ছে বলে গ্রামবাসী স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেছেন। আর গৌছ আলী গংদের এমন আচরণে দক্ষিণ মিরেরচর গ্রামবাসী একটি পরিবারের কাছে অসহায় হয়ে নিজেদের সামাজিক অধিকারটুকু হারাতে বসেছেন মর্মে উল্লেখ করে এ থেকে পরিত্রাণের জন্য কার্যক্রর পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সিলেটের পুলিশ সুপারসহ সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন গ্রামবাসী। ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশ’ সিলেট একটি মানবাধিকার সংস্থা হলেও সংস্থাটির কার্যক্রম অনৈতিক ও আর্থিক লেনদেনের মধ্যই সীমাবদ্ধ থাকে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর। তাই এসব অপকর্মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার দাবী করেছেন এলাকার শান্তি প্রিয় লোকজন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..