গোয়াইনঘাটে বেড়েই চলেছে হিজড়াদের দৌরাত্ম্য

প্রকাশিত: ১২:৫৪ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২০, ২০২১

গোয়াইনঘাটে বেড়েই চলেছে হিজড়াদের দৌরাত্ম্য

Manual3 Ad Code

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় হিজড়াদের উৎপাত আর দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। হিজড়াদের উৎপাত এখন দেশের শহরতলীতে নয়, অজো পাড়াগাঁয়েও চলে এসেছে। মুহূর্তের মধ্যেই উলঙ্গ হওয়া যেন এখন তাদের কাছে ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অসহনীয় যন্ত্রণার মাঝে আছেন ভুক্তভোগীরা।
দেশে হিজড়ারা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ হিসেবে পরিচিত। আর এই হিজড়াদের হয়রানির কবলে পড়তে হয় সাধারণ মানুষ। বকশিসের নামে যাত্রীদের কাছ থেকে হিজড়ারা হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। কেউ টাকা প্রদানে অনিচ্ছুক হলে কথিত হিজড়াদের ব্যবহার এতটা হিংস্র পর্যায়ে চলে যায়, যা খুবই বিব্রতকর ও অপমানজনক। সাধারণ মানুষ অনেক সময় আত্মসম্মান রক্ষায় তাদের হাতে টাকা তুলে দেয়।
শুধু বাস-ট্রেন-লঞ্চ নয়; বরং বাসা, দোকান, ব্যবসা কেন্দ্র সর্বত্রই তাদের উৎপাত লক্ষ্য করা যায়। বিনোদন কেন্দ্রগুলো, যেখানে সাধারণ মানুষ যায় নির্মল আনন্দ লাভের জন্য; সেখানেও চলে তাদের চাঁদাবাজি। চাঁদা দিতে গড়িমসি করলেই হয়রানি ও নাজেহাল হতে হয়। এ ছাড়া কোথাও কোনো বিয়ের অনুষ্ঠান, বাচ্চার জন্ম, কারও জন্মদিনের অনুষ্ঠান কিংবা যে কোনো পারিবারিক উৎসবে তাদের হানা দেওয়াটা যেন রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন শপিংমল ও মার্কেট থেকে শুরু করে ফুটপাত পর্যন্ত তাদের চাঁদাবাজি চলে।
অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর পর্যটন এলাকা গোয়াইনঘাটে এখন হিজড়া আতঙ্ক বিরাজ করছে। এটি নতুন সামাজিক সমস্যার আকারে রূপ নিয়েছে। রাস্তায় বিয়ের গাড়ি আটকিয়ে টাকা আদায়। বাজারে বাজারে দোকানদারের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায়সহ পর্যটন কেন্দ্রে স্থানীয় মানুষ ও পর্যটকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক টাকা আদায় করে নিচ্ছে। আর এটি নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। টাকা দিতে না চাইলে অপমান করা, খারাপ বাসায় গালি-গালাজ করা, ছোট-বড়, মুরব্বি, বয়োবৃদ্ধ সবার সামনে উলঙ্গ হয়ে যাওয়ার কারণে বাধ্য হয়ে মানুষ টাকা দিতে হয়।
এতে করে জনসাধারণের মধ্যে চরম হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। জনসাধারণের মধ্যে এখন প্রশ্ন এদের থেকে সাধারণ মানুষ কি পরিত্রাণ পাবে না? হিজড়াদের এসব অনাচার ও হিংস্রতা রুখে দিতে অবশ্যই প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করা উচিত, যাতে জনসাধারণ স্বাচ্ছন্দ্যে রাস্তাঘাটে চলাচল করার পাশাপাশি উৎপাত ও দুর্ভোগমুক্তভাবে জীবনযাপন করতে পারে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..