সিলেট মঈনউদ্দিন মহিলা কলেজের মাটি ভরাটের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা!

প্রকাশিত: ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২১

সিলেট মঈনউদ্দিন মহিলা কলেজের মাটি ভরাটের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা!

Manual8 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেট নগরের মইন উদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজের মাঠে মাটি ভরাটের জন্য বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাত চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে।

Manual2 Ad Code

সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত আবেদনে এমন অভিযোগ করেন ওই কলেজেরই প্রভাষক মো. মাহবুবুর রউফ। গত ৩ মার্চ (বুধবার) তিনি এ অভিযোগ করেন। এরপর ১১ মার্চ অভিযোগ তদন্তে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করেন কাজী মহুয়া মমতাজ।

Manual1 Ad Code

এ ব‍্যাপারে সদর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম রব্বানী সোমবার সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোরকে বলেন, তদন্তের লিখিত নির্দেশনা পেয়েছি। বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকায় এই সপ্তাহে আমি তদন্তে যেতে পারবো না। আগামী সপ্তাহে সরেজমিনে কলেজে পরিদর্শনে যাবো।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে মঈনউদ্দিন আর্দশ মহিলা কলেজের তৎকালীন অধ‍্যক্ষ মো. গিয়াস উদ্দিন কলেজের মাঠের মাটি ভরাটের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কার্যালয়ের সরকারি ফান্ড থেকে ১ লাখ টাকা কলেজের নামে বরাদ্ধ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ওই বছরের জুন মাসে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা কার্যলয় থেকে কলেজের টিআর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির নামে অনুমোদিত হয়।

Manual1 Ad Code

ওই কমিটির সভাপতি হলেন কলেজের রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কৃষ্ণপদ সূত্রধর।

বিধিমোতাবেক সর্বোচ্চ ৬ মাসের মধ্যে টিআর প্রকল্পের কাজ শেষ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবেদন দেওয়ার কথা। তবে ২ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কলেজের মাঠ ভরাট করা হয়নি।

মাহবুবুর রউফের অভিযোগ, যথাসময়ে মাঠ ভরাট না করে প্রাক্তন অধ‍্যক্ষ গিয়াস উদ্দিন ও টিআর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি কৃষ্ণপদ সুত্রধরসহ অন্যরা বরাদ্ধকৃত টাকা আত্মসাত করে নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে প্রাক্তন অধ্যক্ষ গিয়াস উদ্দিনের সাথে সোমবার রাতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

Manual6 Ad Code

আর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি কৃষ্ণপদ সুত্রধর বলেন, টাকা যখন বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছিলো তখন কলেজের একটি ভবন নির্মাণ কাজ চলছিলো। এতে কলেজ মাঠেই নির্মাণসামগ্রী রাখা হয়েছিলো। তাই তখন মাটি ভরাটের কাজ করা যায়নি। এখন মাটি ভরাট করা হচ্ছে। প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে অভিযোগকারী মাহবুবুর রউফ বলেন, টাকা আত্মসাত নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে সম্প্রতি প্রাক্তন অধ‍্যক্ষ মো. গিয়াস উদ্দিন কলেজের মাঠে মাটি ভরাট প্রকল্পের ১ লাখ টাকা ফেরত দেন। এরপর চলতি র্মাচে মাটি ভরাট কাজ শুরু হয়।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..