সিলেটে চাঁদাবাজী মামলায় ৩ জনকে কারাদন্ড, জরিমানা

প্রকাশিত: ২:০২ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৬, ২০২০

সিলেটে চাঁদাবাজী মামলায় ৩ জনকে কারাদন্ড, জরিমানা

Manual5 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটে ওসমানীনগরে চাঁদাবাজী মামলায় ৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার বিকেলে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (তৃতীয়) আদালতের বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ রায় প্রদান করেন। রায়ে ৩ জনকে ২ বছর করে কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, ৪ জনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, ওসমানীনগরের হামতনপুর গ্রামের একলাছ মিয়ার ছেলে বদরুল মিয়া (৩০), মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে তোফায়েল মিয়া (২০), বদরুল মিয়ার ভাই নজরুল মিয়া (২৭)।

জরিমানাকৃত আসামিরা হলেন, ওসমানীনগর থানার হামতনপুর গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার ছেলে তুহিন মিয়া (২০), গুলু মিয়ার ছেলে শিপন মিয়া (২৪), মৃত আয়না মিয়ার ছেলে আব্দুল মুমিন (২২) ও আব্দুল বারীর ছেলে শিবলু মিয়া (৩৫)। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত ও জরিমানাকৃত আসামীরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

Manual8 Ad Code

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে , ওসমানীনগর থানার হামতনপুর গ্রামের আব্দুল রুপের স্ত্রী সাজনা বেগম বাড়ীর বাউন্ডারি দেওয়াল নির্মাণের পরিকল্পনা করেন। বিষয়টি জানতে পেরে আসামীরা সাজনা বেগমের কাছে ২ লাখ টাকা চাদা দাবী করেন।

Manual4 Ad Code

সাজনা বেগম চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। গত ২০১৪ সালের ৫ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে আসামি বদরুল, তোফায়েল, নজরুল, তুহিন, শিপন, আব্দুল মোমিন ও শিবলুরা বন্দুক, পিস্তল, রামদা ছুরি, শাবল ও লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাজনা বেগমের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে তার বোনপো ইকবাল হোসেনের (৩০) বুকে ও চোখে গুলি করে। এতে সে গুরুতরো আহত হয়। এরপর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

Manual6 Ad Code

এ ঘটনায় সাজনা বেগম ৯ জনকে আসামী করে ওসমানীনগর থানায় চাঁদা দাবি ও বন্দুক দিয়ে গুলির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন (নম্বর -২/৬/৪/২০১৪)। তদন্ত শেষে ঐ বছরের ২২ জুন ওসমানীনগন থানার এস আই সাইফুল আলম ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে একটি চার্জশিট (নম্বর-৭৫) দাখিল করেন এবং ২০১৫ সালের ১৭ মে থেকে ঐ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।

দীর্ঘ শুনানী ও ১০ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) আদালত আসামী বদরুল, তোফায়েল ও নজরুল মিয়াকে ৩২৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে ২ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, তুহিন, শিপন, আব্দুল মোমিন ও শিবলুকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৭ দিনের সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।

এছাড়া আসামী লটু মিয়া (৪৮) মামলা চলাকালীন সময়ে মারা যান এবং আসামী লটু মিয়ার পুত্র জুবায়েরের (২২) বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাডিশনাল পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন আহমদ ও আসামীপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনির উদ্দিন আহমদ মামলাটি পরিচালনা করেন।

Manual3 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2020
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..