সিলেট ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৭ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:২১ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : কক্সবাজারে বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর এনএফ এন্টারপ্রাইজের ৬০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়া কর্মচারী মোহাম্মদ ইসমাঈলসহ (৪৩) তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সাড়ে ৫৬ লাখ টাকা।
এ ঘটনার মূলহোতা কক্সবাজারের বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটের কর্মচারী মোহাম্মদ ইসমাইল কক্সবাজার পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সাবমেরিন ক্যাবল এলাকার বাসিন্দা মৃত ফকির মোহাম্মদের ছেলে। তিনি ফজল মার্কেটের বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর এনএফ এন্টারপ্রাইজের মাসিক বেতনভুক্ত সিএনজিচালক ও ‘মানি রানার’ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
তার সহযোগী হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা মৃত আবুল হোসাইনের ছেলে জসিম উদ্দিন (৫৫) ও তার স্ত্রী সাজেদা বেগমকে (৪২)।
শুক্রবার বিকালে কক্সবাজার সদর মডেল থানা প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত বুধবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক কক্সবাজার শাখা থেকে ৬০ লাখ টাকা উত্তোলন করে অফিসে জমা না দিয়ে আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মচারী মোহাম্মদ ইসমাঈল। এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই প্রতিষ্ঠানের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) নিজাম উদ্দিন।
পরবর্তীতে ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করে প্রাথমিকভাবে দুইজনকে শনাক্ত করা হয়। পরে জসিম উদ্দিন ও সাজেদা বেগমের বাসায় অভিযান চালিয়ে ৫৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। টাকাগুলো বসতঘরের খাটের নিচে লুকানো ছিল।
প্রেস ব্রিফিংয়ে থানার ওসি (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে, তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. আনোয়ার হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এনএফ এন্টারপ্রাইজের মালিক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক কক্সবাজার শাখা থেকে টাকা উত্তোলনের জন্য বুধবার সকালে মোহাম্মদ ইসমাঈলকে একটি চেক প্রদান করা হয়। প্রতিদিন টাকা উত্তোলন করে অফিসে জমা দিয়ে গেলেও এবার করেছে উল্টো। ব্যাংক থেকে উত্তোলিত ৬০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় মোহাম্মদ ইসমাঈল। ঘটনার পর থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। আসামিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার ও টাকা উদ্ধার করে দেয়ায় পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রতিষ্ঠানের মালিক।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd