কানাইঘাট সীমান্ত থেকে উদ্ধার হওয়া মালপত্র আকবরের কি না যাচাই করবে পিবিআই

প্রকাশিত: ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২০

কানাইঘাট সীমান্ত থেকে উদ্ধার হওয়া মালপত্র আকবরের কি না যাচাই করবে পিবিআই

Manual8 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত থেকে উদ্ধার করা মুঠোফোন, সিমকার্ড ও কাপড়চোপড় বরখাস্ত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়ার কি না, তা যাচাই-বাছাই করবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। যাচাইয়ে মালপত্র আকবরের বলে প্রতীয়মান হলে মামলার আলামত হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে।

পুলিশের কাছ থেকে আকবরের মালপত্র গ্রহণ করে শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান। এরআগে বৃহস্পতিবার রাতে পিবিআইয়ের কাছে আকবরের মালপত্র হস্তান্তর করে সিলেটের কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ থানা-পুলিশের একটি দল। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ডোনা এলাকা থেকে পলাতক আকবর ধরা পড়ার ১২ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার রাতে কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে একদল পুলিশ আকবরের ব্যবহৃত মুঠোফোন-সিমকার্ডসহ কাপড়চোপড় উদ্ধার করে। সমতল থেকে বেশ উঁচু একটি পাহাড়ের চূড়ায় এগুলো ফেলে রাখা ছিল বলে জানায় পুলিশ।

পুলিশ সূত্র জানায়, একটি বাক্সের মধ্যে দুটো মুঠোফোন, কাগজ দিয়ে মোড়ানো তিনটি সিমকার্ড, শার্ট-প্যান্ট ও গেঞ্জি একটি কালো ব্যাগে রাখা ছিল। সেখানে একটি ২০ টাকার নোট, আকবরের পলাতক থাকা অবস্থার দুটো পাসপোর্ট সাইজ ছবি ও দুজন নারীর পাসপোর্ট সাইজ ছবি পাওয়া যায়। আকবরের মালপত্র পাহাড়ের চূড়ায় ফেলা রাখার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা ও জকিগঞ্জ থানার ওসি মীর মো. আবদুন নাসের তা উদ্ধারে নেতৃত্ব দেন। একই স্থান থেকে ৯ নভেম্বর আকবরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময়ও এই দুই ওসি উপস্থিত ছিলেন।

Manual6 Ad Code

কানাইঘাটের ওসি শামসুদ্দোহা জানিয়েছেন, মুঠোফোন দুটো আকবরের বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সঙ্গে তিনটি সিম ভারতীয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। পলাতক অবস্থায় আকবরের খাসিয়া বেশের দুটো পাসপোর্ট সাইজ ছবি ও দুজন নারীর পাসপোর্ট সাইজ ছবি ব্যাগের মধ্যে কাগজ দিয়ে মোড়ানো ছিল। গেঞ্জির সঙ্গে শীতের গরম কাপড়ও ছিল। এই মালপত্র মামলার আলামত হিসেবে পিবিআইকে হস্তান্তর করা হবে।

Manual7 Ad Code

পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ-উজ-জামান বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে জেলা পুলিশের মাধ্যমে এসব পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মুঠোফোন, সিমকার্ড, কাপড়চোপড় আকবরের কি না, তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এসব আকবরের বলে নিশ্চিত হলে মামলার আলামত হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে।

গত ১০ অক্টোবর সিলেট নগরের আখালিয়া এলাকার রায়হান আহমদকে (৩৪) বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরদিন তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার কোতোয়ালি থানায় হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন। মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে নির্যাতনের সত্যতা পায়। ১২ অক্টোবর ওই ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। ১৩ অক্টোবর আকবর পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে যান। ২৭ দিন পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে আকবরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলাটির তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। রিমান্ড শেষে গত মঙ্গলবার আকবরকে কারাগারে পাঠানো হয়।

সীমান্ত এলাকার একটি সূত্র জানায়, আকবর ১৪ অক্টোবর কোম্পানীগঞ্জের উৎমা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি কুমার দেব নাম ধারণ করেন। তিনি শিলচর এলাকায় গোপাল নামের এক ব্যক্তির ভাই পরিচয় দিয়ে খাসিয়া সেজে বাস করছিলেন। তিনি সেখানে খাসি ও হিন্দি ভাষায় কথা বলতেন। গোপন সূত্রের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত হয়ে ভারতীয় খাসিয়া ও সীমান্ত এলাকার লোকজনের সহায়তায় ডোনা এলাকায় এনে আকবরকে গ্রেপ্তার করে সিলেট জেলা পুলিশের একটি দল।

Manual1 Ad Code

পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায়, আকবর পালিয়ে ভারতের যে এলাকায় অবস্থান করছিলেন, সেখান থেকে লোক মারফত জিনিসপত্রগুলো ডোনা সীমান্তের পাহাড়ে রেখে যাওয়া হয়। এরপর পুলিশ গিয়ে সেগুলো উদ্ধার করে। আকবরকে পালাতে সহায়তাকারী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতেই এগুলো উদ্ধার করা হয়।

Manual1 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2020
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..