সিলেটের আলোচিত ইয়াবা সুন্দরী মুন্নী দুই মামলায় কারাগারে

প্রকাশিত: ১২:৩৬ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০২০

সিলেটের আলোচিত ইয়াবা সুন্দরী মুন্নী দুই মামলায় কারাগারে

Manual3 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হলেন সিলেটের সেই মুন্নী। শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়েছে ধর্ষণ মামলায়ও। দুই মামলার আসামি হয়ে মুন্নীর ঠাঁই হলো সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে। সঙ্গে আছেন ধর্ষক ভাই রাব্বীও। এই মুন্নী হলেন সিলেটের আলোচিত সেই তিন্নী-মুন্নী জুটির মুন্নী। এক সময় সিলেটের লন্ডনি যুবকদের কাছে তাদের পরিচিতি ছিল ব্যাপক। টাকাওয়ালা পরিবারের দিকে থাকতো চোখ। টাকার সেই চোখ এখনো বদলায়নি।

Manual7 Ad Code

অপরাধ জগৎ থেকে ফিরতে পারেনি মুন্নী। এ কারণে এবার ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশ ধারণা করছে- মুন্নীর সঙ্গে সিলেটের ইয়াবা নেটওয়ার্কের সম্পর্ক রয়েছে। ইয়াবা বেচা-বিক্রিতে তার নেতৃত্বে থাকতে পারে চক্রও। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া উইং থেকে শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে মুন্নী আটকের কথা।

Manual8 Ad Code

মুন্নীর পুরো নাম মরিয়ম আক্তার মুন্নী। বয়স উনত্রিশ কিংবা ত্রিশ। শিবগঞ্জের হাতিমবাগ এলাকার জাকির হোসেনের মেয়ে সে। একাধিক বিয়ে, পরপুরুষকে নিয়ে রোমান্সসহ নানা ঘটনায় সিলেটে আলোচিত মুন্নী। গ্রেপ্তারের আগেও সে নগরীর ব্যবসায়ী পুত্রের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিতো। কিন্তু বিয়ের বিষয়টি আদৌ সত্যি কিনা তা জানা যায়নি। নিজ এলাকাসহ নগরীর কয়েকটি বাসায় রয়েছে মরিয়ম আক্তার মুন্নীর যাতায়াত। একেক সময় সে একেক বাসায় বসবাস করে। কখনো গোপনে, কখনো আবার প্রকাশ্যে তার বসবাস।

Manual4 Ad Code

এসএমপি’র মিডিয়া উইং থেকে জানানো হয়- শনিবার সকালে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল নগরীর সোনারপাড়া ঊর্মি ৪৭/২ বাসায় অবস্থান করছিলো। এ সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে মুন্নীকে গ্রেপ্তার করে। মুন্নী শাহপরান থানার একটি ধর্ষণ মামলার আসামি। গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, মুন্নী সোনারপাড়া ওই বাসায় আশ্রিতা হিসেবে বসবাস করতো। এবং সিলেট শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ইয়াবা পাইকারি দরে এনে বিক্রি ও সেবন করতো। ওই বাসায় ইয়াবা বিক্রি ও সেবনের একটি আস্তানাও গড়ে তুলেছিল।

এর আগেও সে সিলেট নগরীর বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া নিয়ে ইয়াবা বিক্রি ও সেবনের আস্তানা হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। এদিকে গ্রেপ্তারের পর মুন্নীকে সিলেটের শাহপরান থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। সিলেটের শাহপরান থানার ওসি আব্দুল কাইয়ূম মানবজমিনকে জানিয়েছেন, মুন্নীর বিরুদ্ধে গত ৩রা অক্টোবর শাহপরান থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ওই মামলায় আসামি ছিল মুন্নীর ভাই রাব্বীও।

Manual3 Ad Code

মামলার পর ভাই রাব্বী তালুকদারকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলেও মুন্নী পলাতক ছিল। শনিবার মুন্নীকে গ্রেপ্তারের পর ধর্ষণ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মুন্নীর বিরুদ্ধে মাদক বিক্রিসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে বলে জানান ওসি। শাহপরান থানা পুলিশ জানায়, গত ২৯শে সেপ্টেম্বর মুন্নীর ভাই রাব্বী তালুকদার একই এলাকায় বসবাস করা এক কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর তাকে নিয়ে যায় ঢাকার মানিকগঞ্জে। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা শাহপরান থানায় এজাহার দাখিল করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ তখন এজাহারটিকে তদন্ত পর্যায়ে রেখেছিল। এরই মধ্যে ঢাকা থেকে বড় বোন মুন্নীর সোনারপাড়াস্থ বাসায় এসে আশ্রয় নিয়েছিলো রাব্বী ও ওই কিশোরী। পরে স্থানীয় মুরুব্বিরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। মুন্নীও তাতে সায় দেন। কিন্তু পরবর্তীতে মুরুব্বিদের রায় মানেননি মুন্নী। উল্টো পুলিশ দিয়ে সবাইকে শায়েস্তা করার হুমকি দেন বলে এলাকার লোকজন জানিয়েছেন।

পরে এলাকাবাসীর পরামর্শে ১লা অক্টোবর মামলার বাদী ওসি আব্দুল কাইয়ূমের শরণাপন্ন হন। পরে শাহপরান থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই দিন রাতেই মুন্নীর বাসা থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে। গ্রেপ্তার করে আসামি রাব্বী তালুকদারকে। এরপর থেকে রাব্বী তালুকদার অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় কারাগারে রয়েছে। তবে ওই সময় পুলিশ মুন্নীকে খুঁজলেও পায়নি। ঘটনার প্রায় এক মাস পর ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হলো মুন্নীকে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2020
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..