সিলেট ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৭ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১:০২ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : আকবরের সাথে যে যে আছে তাদের ধরা হোক। তার পেছনে পুলিশের অনেক বড় অফিসাররাও আছেন। তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।- কথাগুলো বলছিলেন বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদের মা সালমা বেগম।
রায়হান হত্যার একমাস পূর্তিতে বুধবার (১১ নভেম্বর) সাথে আলাপকালে সালমা বেগম বলেন, যার নেতৃত্বে রায়হানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে সেই আকবরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এখনও অভিযুক্ত অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাদেরকে গ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।
তিনি বলেন, আমি চাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমার ছেলে হত্যার বিচার হবে। এই বিচার নিয়ে যেনো দীর্ঘসূত্রিতা করা না হয়। আমি দ্রুততম সময়ে আকবরসহ জড়িত সকলের ফাঁসি চাই।
গত ১০ অক্টোবর সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে এনে নির্যাতন চালানো হয় রায়হান আহমদকে (৩৪)। ১১ অক্টোবর সকালে মারা যান তিনি। বুধবার (১১ নভেম্বর) রায়হান হত্যার এক মাস পূর্ণ হয়েছে। হত্যাকান্ডের মাসপূর্তির ঠিক আগে গত সোমবার এই ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত পুলিশের বহিস্কৃত উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূইয়াকে আটক করা হয়েছে।
আলাপকালে রায়হানের ছোটভাই রাব্বি আহমদ তানভির বলেন, আকবরকে গ্রেপ্তার করা হলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও সিম এখনও উদ্ধার করা হয়নি। এগুলো উদ্ধার করা হলেই আকবর পালানোর আগে কাদের সাথে কথা বলেছিলে, কাদের পরামর্শ নিয়েছে তা বেরিয়ে আসবে। এজন্য আকবরের মোবাইল সিম দ্রুত উদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি। রায়হান হত্যার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তও দাবি করেন তিনি।
আকবর গ্রেপ্তার, রায়হান হত্যার তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে দ্রুতই পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হবে বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, ১১ অক্টোবর সকালে রায়হানের মৃত্যুর পর পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিলো- নগরীর কাষ্টর এলাকায় ছিনতাই করতে গিয়ে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান। তবে ওইদিন দুপুর থেকে রায়হানের পরিবারের পক্ষ থেকে- এই মৃত্যুকে হত্যাকান্ড হিসেবে দাবি করা হচ্ছে। এই হত্যার বিচার দাবি জানিয়ে আসছে পরিবার।
রায়হানের মৃত্যুর দিনই তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি বাদি হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে কতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন।
রায়হান আহমদের মৃত্যুর ২৮ দিন পর সোমবার সকালে কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের ডোনা সীমান্ত থেকে বহিস্কৃত এসআই আকবরকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার তাকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। এরআগে এই ঘটনায় এসআই আশেক-ই এলাহি, পুলিশ কনস্টেবল টিুট চন্দ্র দাশ ও হারুনুর রশীদকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। তাদেরকেও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এছাড়া ঘটনার পরপরই সিলেট মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি ফাঁড়িতে ধরে এনে নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পায়। তাদের সুপারিশের ভিক্তিতে আকবরসহ ৩ পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বহিস্কার ও ৪ জনকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd