নতুন তদন্ত কর্মকর্তার কাজ শুরু, অভিযোগকারী সাইদুরের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০২০

নতুন তদন্ত কর্মকর্তার কাজ শুরু, অভিযোগকারী সাইদুরের বিরুদ্ধে মামলা

Manual5 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান আহমদের মৃত্যুর পর দায়েরকৃত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এখন পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সিলেটের ইন্সপেক্টর আওলাদ হোসেন। তিনি বুধবার (৪ নভেম্বর) থেকে চাঞ্চল্যকর এ মামলায় তদন্তের কাজ শুরু করেছেন।

Manual6 Ad Code

এর আগে পিবিআই ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ মাহিদুল ইসলাম করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তার স্থলে ইন্সপেক্টর আওলাদ হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। গত রোববার রাতে মাহিদুল ইসলাম ছাড়াও পিবিআই’র দুজন পরিদর্শক, একজন সহকারী পুলিশ পরিদর্শক ও দুজন কনস্টেবল করোনায় আক্রান্ত হন। এ অবস্থায় একদিন পর মঙ্গলবার মামলা তদন্তে দায়িত্ব দেওয়া হয় আওলাদ হোসেনকে।

সিলেট নগরীর বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পরিবর্তন করা হয়েছে। বুধবার থেকে তিনি মামলার তদন্ত কাজও শুরু করেছেন।

এরই মধ্যে ইন্সপেক্টর মো. মাহিদুল ইসলাম মামলার তদন্ত কাজ বেশ এগিয়ে নিয়েছেন। তিনি তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে গ্রেপ্তার ও আটক পুলিশ সদস্যদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

এদিকে, সেই রাতে রায়হানের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগকারী শেখ সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা হয়েছে। সৌদি রিয়েল দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে সোমবার রাতে সাইদুরের বিরুদ্ধে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন প্রাইভেটকারচালক নগরের লন্ডনি রোডের বাসিন্দা আফজাল হোসেন আলাল।

Manual4 Ad Code

বুধবার কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম মিঞা মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৩ অক্টোবর আসামি সাইদুর শেখ নিজেকে লেপ-তোষকের ফেরিওয়ালা সুমন বলে পরিচয় দিয়ে সৌদি আরবের রিয়াল ভাঙানোর কথা বলেন। এ সময় বাদি আলালের কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে রিয়ালে বদলে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার কাগজ দিয়ে রিয়ালের বান্ডিল বানিয়ে প্রতারণা করেন তিনি।

এর আগে গত গত ২৫ অক্টোবর সাইদুরকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে পিবিআই।

পুুলিশ জানায়, সাইদুরের ছিনতাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই গত ১১ অক্টোবর রাতে রায়হান আহমদকে নগরী কাষ্টঘর থেকে ধরে নিয়ে আসে বন্দরবাজার ফাঁড়ির পুলিশ।

উল্লেখ্য, বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করে ১১ অক্টোবর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে রায়হানের মৃত্যু হয়।

রায়হান সিলেট নগরের আখালিয়ার নেহারিপাড়ার বিডিআরের হাবিলদার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরের রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে সহাকরী হিসেবে চাকরি করতেন।

Manual2 Ad Code

এ ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু আইনে এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।

Manual8 Ad Code

১৪ অক্টোবর মামলাটি পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশ পিবিআইতে স্থানান্তর হয়। তদন্তভার পাওয়ার পর পিবিআইর টিম ঘটনাস্থল বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, নগরের কাস্টঘর, নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করে। সর্বোপরি লাশ কবর থেকে তোলার পর পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হয়।

নিহত রায়হানের মরদেহে ১১১ আঘাতের চিহ্ন উঠে এসেছে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে। এসব আঘাতের ৯৭টি ফোলা আঘাত ও ১৪টি ছিল গুরুতর জখমের চিহ্ন। এসব আঘাতগুলো লাঠি দ্বারাই করা হয়েছে। অসংখ্য আঘাতের কারণে হাইপোভলিউমিক শক ও নিউরোজেনিক শকে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কর্মক্ষমতা হারানোর কারণে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

November 2020
S S M T W T F
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..