সিলেট ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৭ই রজব, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:৩৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৩, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক :: তার প্রধান অস্ত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। নিরীহ মানুষকে কাবু করার জন্য সামাজিক মাধ্যমে করতেন নানা ছলচাতুরি। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে তোলা ছবি ব্যবহার করে পেতেছিলেন প্রতারণার অভিনব ফাঁদ। সুনারা বেগম নামের এই প্রতারকের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব জৈন্তাপুরের শতাধিক মানুষ। জৈন্তাপুর উপজেলার ৬নং চিকনাগুল ইউনিয়নে বাসিন্দা তিনি। এই প্রতারক সুনারার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আমলে নিচ্ছে না প্রশাসন। যার ফলে স্থানীয়দের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
এই বহুরূপী প্রতারক নারীর বিরুদ্ধে ৬নং চিকনাগুল ইউনিয়নে প্রতিটি ওয়ার্ডের সদস্যদের নিকট এলাকার ভুক্তভোগী লোকজন বিচার প্রার্থী হলেও কোন লাভ হয়নি। এই নারী এলাকার কোন চেয়ারম্যান ও মেম্বারের ডাকে সাড়া দেয়নি। কারণ সে নিজেকে আওয়ামীলীগের নেত্রী ও বড় বড় নেতাদের কাছের লোক পরিচয় তার এসকল অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।
ইউপি সদস্যগণ একদম নিরুপায় হয়ে গত ৭ অক্টোবর সুনারা বেগমের প্রতারণার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জৈন্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার ৬নং চিকনাগুল ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আছাব আলী, ফয়জুল হাসান, মুুজিব মিয়া, নজরুল ইসলাম, আহমদ হোসেন চোধুরী, আফতাব আলী, সাইফ উদ্দিন, শুভ বিনি, আজির উদ্দিন, মকবর আলীসহ মোট ১৫৮ জন জন সাধারণ স্বাক্ষর করেন। কিন্তু অভিযোগের পর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। ইউপি সদস্যদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে সুনারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
ইউপি সদস্যরা জানান, গণমাধ্যমে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে তোলা ছবি ফেসবুকে প্রচারই তার পেশা। সুনারা বেগমকে সবাই চেনে ক্ষমতাসীন দলের প্রতারক নেত্রী হিসেবে। আবার ভন্ড নেতাদের কাছে আদরের ধন। এই নারীর কোন ব্যবসা-বাণিজ্য না থাকলেও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে ঘনিষ্ঠতা দাবি করে জৈন্তাপুর ও পিরের বাজারে মানুষের অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে সুনারার বিরুদ্ধে। তার এসকল অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ভুয়া মামলায় হয়রানিও করেছেন অনেককে। আবার কারো কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলাও করেছেন সুনারা। তবে বেশির ভাগ মামলার ফাইনাল রিপোর্ট সুনারার বিরুদ্ধে আদালতে জমা দিয়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তারা।
সুনারা এসকল অপকর্মের প্রতিবাদ ও বাধা প্রধান করলে শান্তিকামী মানুষের উপর সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে থাকে। কোন জনপ্রতিনিধির শালিসে শাড়া দেয়নি। সুনারা কোন আইনের তোয়াক্কা না করেই কিছু বখাটে ছেলেদের দিয়ে মানুষকে হয়রানি করে থাকে। এমনকি সে নিজেকে ৬নং চিকনাগুল ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেত্রী পরিচয় দিয়ে এসকল অসামাজিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে উপজেলা আওয়ামীলীগ সুনারার বিরুদ্ধে কোন ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। যার ফলে সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
সুনারা বেগমের নির্যাতন ও অসামাজিকতার অভিযোগ এনে গত (১ অক্টোবর) সিলেট জেলা পুলিশ সুপার বরাবরও একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছেন উপজেলার টাকুরের মাটি গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক ভুক্তভোগী। এত কিছুর পরও কোন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd