সিলেট ২৮শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৫৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৫, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে যুবক রায়হান নিহতের ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এর মধ্যে দুইজন পুলিশ সদস্য। তারা হচ্ছেন- কনস্টেবল হারুনুর রশিদ ও টিটু চন্দ্র দাস। এর মধ্যে হারুন ৫ দিনের রিমান্ডে আছেন এবং টিটুকে দ্বিতীয় দফায় তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পিবিআই। এর আগে তাকে প্রথম দফায় ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
এদিকে, সেই রাতে রায়হানকে গ্রেফতারকারী এএসআই আশেকে এলাহীসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদেরকে যে কোনো সময় গ্রেফতার দেখানো হতে পারে। পুলিশের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত হলেন এএসআই আশেকে এলাহী। তাকে গত ১৩ অক্টোবর দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে যুক্ত করা হয়।
অপরদিকে, সেই রাতে রায়হান আহমদের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগকারীসাইদুর রহমানকে রোববার (২৫ অক্টোবর) সকালে গ্রেফতার করেছে পিবিআই।
পিবিআই’র ইন্সপেক্টর মাহিদুল ইসলাম জানান, রায়হানের বিরুদ্ধে ছিনতাইর অভিযোগকারী সাইদুর রহমান রোববার সকাল ১১টার দিকে পিবিআই অফিসে হাজির হলে সন্ধিগ্ধ হিসেবে তাকে আটক করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর রাত তিনটার দিকে রায়হানকে সিলেট কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনে রায়হান মারা যান। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি পরদিন হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন। মামলায় আসামির নাম উল্লেখ করা হয়নি।
মামলার পর মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে ওই ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে। আকবর ১৩ অক্টোবর থেকে পলাতক আছেন।
অন্যদিকে, এসএমপি থেকে মামলাটির তদন্তভার পিবিআইয়ে কাছে হস্তান্তর করা হলে রায়হানের লাশ কবর থেকে তুলে পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হয়। নির্যাতনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ফাঁড়ির ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও গায়েব, তথ্য গোপন করাসহ এসআই আকবরকে পালাতে সহায়তা করার অভিযোগে ২১ অক্টোবর ফাঁড়ির ‘টু-আইসি’ পদে থাকা এসআই হাসান উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
রায়হান নগরীর একটি রোগনির্ণয় কেন্দ্রে চাকরি করতেন। তিনি স্ত্রী, তিন মাস বয়সী এক মেয়ে ও মাসহ আখালিয়ার নিহারীপাড়ায় বসবাস করতেন। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় ‘বৃহত্তর আখালিয়া সংগ্রাম পরিষদ’ নামে এলাকাবাসী বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে তৎপর রয়েছেন।
Sharing is caring!


………………………..

Design and developed by best-bd