সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৪২ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : চট্টগ্রামের মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালকের পদ থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন হেফাজত আমির শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মাদ্রাসার মজলিসে শুরার কয়েকজন সদস্য জানিয়েছেন।
রাত ১০ টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসার শুরা সদস্য ও মেখল মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা নোমান ফয়জী এ ঘোষণা পাঠ করে শোনান।
ঘোষণায় বলা হয়, মুহতামিম বা মহাপরিচালকের পদ থেকে সরে যাওয়ায় আল্লামা শফীকে সদরে মুহতামিম বা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া বৈঠকে মাওলানা নুরুল ইসলাম কক্সবাজারিকে থেকে অব্যাহতি দেয়ার পাশাপাশি মাওলানা আনাস মাদানীর বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়।
এদিকে পদত্যাগ করার পরও আল্লামা আহমদ শফীকে অবরুদ্ধ করে রাখার খবর পাওয়া গেছে। অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় তিনি হাসপাতাল যেতে চাইলেও তাকে আটকে রেখেছে আন্দোলনকারীরা।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন দাবিতে বুধবার থেকে হাটহাজারী মাদ্রাসায় বিক্ষোভ করছে ছাত্ররা।
এ সময় মাদ্রাসার পরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীসহ বিভিন্ন শিক্ষকের রুমে ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে হাটহাজারী মাদ্রাসা বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু সরকারি ওই আদেশ না মানার ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বুধবার রাতে ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে প্রতিষ্ঠানটির সহকারী শিক্ষা সচিব মাওলানা আনাস মাদানীকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও লাঠি হাতে পুরো মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
মাদ্রাসার সব গেট তালাবদ্ধ করে রাখার পাশাপাশি সহকারী পরিচালক মাওলানা শেখ আহমদ, মুফতি জসিম ও মাওলানা ওমরের রুমে ভাঙচুর চালানো হয়।
হাটহাজারী মাদ্রাসার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেয়া এক ভিডিওতে মাদ্রাসার পরিচালক ও হেফাজত আমির আল্লামা আহমদ শফীর কক্ষেও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ করা হয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার রশিদুল হক, র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েলের, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দৌলা রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল, হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ আলমসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য মাদ্রাসার সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd