ইউএনও ওয়াহিদা খানমের উপর হামলার ঘটনায় নতুন মোড়

প্রকাশিত: ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২০

ইউএনও ওয়াহিদা খানমের উপর হামলার ঘটনায় নতুন মোড়

Manual2 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার পিতার উপর হামলা’র ঘটনা নতুন মোড় নিয়েছে। আজ শনিবার দিনাজপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্রাচার্য প্রেস ব্রিফিং করে জানান, এই মামলায় নতুন করে রবিউল নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি উপজেলা চত্বরের একটি পুকুর থেকে এবং মই ও বালতি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার রবিউল উপজেলা পরিষদের মালি অর্থাৎ চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী। ইতিমধ্যেই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

Manual4 Ad Code

এদিকে আজ আদালতে রবিউলসহ ইউএনও’র বাসার নাইট গার্ড নাদিম হোসেন পলাশকেও আদালতে গ্রেফতার দেখিয়ে হাজির করা হয়। একইসাথে ৭ দিনের রিমান্ডে থাকা যুবলীগ কর্মী আসাদুলকেও হাজির করা হয়। এর আগে র‌্যাব ব্রিফিংকালে আসাদুলের স্বীকারোক্তি মোতাবেক এটিকে নিছক চুরির কথা বলেছিল এবং সেদিন যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর ও পলাশকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলেছিল র‌্যাব। আর আজ শনিবার আদালতে হাজির করা তিনজনের মধ্যে কেবল রবিউলকে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপর দু’জন আসাদুল ও নতুনভাবে আটক পলাশকে জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়। আজ পর্যন্ত অফিসিয়ালী মোট ৫জনকে গ্রেফতার দেখানো হলো।

Manual1 Ad Code

এদিকে, শনিবার সকাল থেকেই রিমান্ডে থাকা আসাদুলকে আদালতে হাজিরের কথা জানা যায়। তার আগে পুলিশ গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে প্রেস ব্রিফিং করে হালনাগাত তথ্য উপস্থাপন করার কথা বলেন। বিকেল সাড়ে তিন টায় পুলিশের ডিআইজি প্রেস ব্রিফিং স্থলে হাজির হোন। ব্রিফিং শুরুর আগেই তিনি কোন প্রশ্ন না করা করার জন্য অনুরোধ করেন। মাত্র ৫ থেকে ৬ মিনিটের ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, এই মামলায় নতুন করে রবিউল নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার স্বাকারোক্তি মোতাবেক হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি ও মইও উদ্ধার করা হয়েছে।

Manual6 Ad Code

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, রবিউলকে আদালতে হাজির করে জিঙ্গাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হবে। জিঙ্গাসাবাদের মাধ্যমে হামলার কারনসহ আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্ত করা হবে। পরে আবারও জানানো হবে।

টক অব দা কান্ট্রি এই হামলার ঘটনা ক্রমশই জটিল হচেছ। কেননা গ্রেফতারকৃত আসামী রবিউল ও পলাশকে কবে জিঙ্গাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে তার কোন ব্যাখ্যাা দেয়া হয়নি। এছাড়া এখনও কতজন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে ব্রিফিংয়ে এ নিয়ে কিছুই বলা হয়নি। তবে হামলায় ব্যবহৃত হাতুড়ি ও মই উদ্ধারের মাধ্যমে পুলিশ এক ধাপ এগিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। একজন মালি কি কারনে তার উর্ধতন কর্মকর্তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালালো তার কোন সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। এক কথায় হামলার প্রায় ১১ দিন পরও সঠিক কোন কারন বা ক্লু উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি এটি এখন স্পষ্ট।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

September 2020
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..