খাদিমপাড়ায় করোনা আইসোলেশন সেন্টার চালু

প্রকাশিত: ৩:১২ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২০

খাদিমপাড়ায় করোনা আইসোলেশন সেন্টার চালু

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেট শহরতলীর খাদিমপাড়াস্থ ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি করোনা আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে উদ্বোধন করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আবদুল মোমেন।

শনিবার (২৭ জুন) দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ করোনা আইসোলেশন সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনকালে খাদিমপাড়া হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. মশিউর রহমান এনডিসি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. সুলতানা রাজিয়া, জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বিভাগীয় স্বাস্থ্য সহকারী পরিচালক ডা. মো. আনিসুর রহমান, সিলেট জেলা সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মন্ডল, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ ও খাদিমপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আফছর আহমদ প্রমুখ।

এর আগে সিলেটে তিনটি হাসপাতালে করোনাক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছিল। এর মধ্যে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল পুরোপুরিভাবে করোনা রোগীদের জন্য বরাদ্দ ছিলো। এই সরকারি হাসপাতাল ছাড়া বেসরকারি নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ ও মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।

দরিদ্র আর মধ্যবিত্তদের পক্ষে বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন কষ্টকর। ফলে এ দুই শ্রেণির মানুষ আক্রান্ত হলে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালেই ছুটে যান। যে কারণে এ হাসপাতালে এখন রোগীদের প্রচণ্ড চাপ। এমন পরিস্থিতিতে সিলেটে আরেকটি হাসপাতালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় শুরু হল করোনাক্রান্ত রোগীদের জন্য চিকিৎসাসেবা। খাদিমপাড়ার এ হাসপাতালে সাধারণ মানুষ কোনো ধরনের খরচ ছাড়াই চিকিৎসাসেবা পাবেন।

প্রসঙ্গত, সিলেটের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে গত ৯ জুন বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সিলেটের করোনা চিকিৎসা সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়াসহ শীর্ষ কর্মকর্তা ও কিডনি ফাউন্ডেশনের সাথে জড়িতরা যুক্ত ছিলেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয় কিডনি ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ৩১ শয্যাবিশিষ্ট খাদিমপাড়া হাসপাতাল ও দক্ষিণ সুরমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে করোনা চিকিৎসার জন্য কাজে লাগানো হবে। এ দুই হাসপাতাল মিলিয়ে শয্যাসংখ্যা হয় ৬২টি।

সিদ্ধান্তের পর হাসপাতাল দুটিকে প্রস্তুত করার কাজ শুরু হয়। বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি আনা, অক্সিজেনের ব্যবস্থা করাসহ আনুষঙ্গিক কাজ করা হয়েছে। ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা হয়েছে হাসপাতাল দুটিকে। তবে এ দুই হাসপাতালে আইসিইউ সুবিধা থাকছে না।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..