সিলেট ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:১৮ অপরাহ্ণ, জুন ৩, ২০২০
কে. এ. রাহাত :: সিলেটের জৈন্তাপুরে পুর্বরাজ মহবুবুল আম্বিয়া মেমোরিয়াল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক জালিয়াতি করে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে এমপিওভুক্তির আবেদন করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে এলাকার সচেতন মহল এর প্রতিকার চেয়ে সিলেট জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপ-পরিচালক সিলেট অঞ্চল শিক্ষা অধিদপ্ত বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, জৈন্তাপুর পুর্বরাজ মাহবুবুল আম্বিয়া চৌধুরী মেমোরিয়াল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৯৮ ইং স্থাপিত হয়। অত্র প্রতিষ্ঠান ২০১৯সালে এমপিও ভুক্তির আওতায় আনা হয় এবং শিক্ষক এমপিও ভুক্তির আওতায় আসে। প্রতিষ্টালগ্ন থেকে এই বিদ্যালয়ে বৈধ কমিটির মাধ্যমে নিয়োগকৃত শিক্ষক দিয়েই প্রতিষ্ঠান চলে। এমপিও ভুক্তির আওতায় আসার পর একটি চক্র বিদ্যালয়ের পুর্বের শিক্ষকদের রেখে নতুন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে এমপিও ভুক্তির জন্য ভূয়া কাগজপত্র দাখিল করেছে বলে অভিযোগে উল্ল্যেখ করা হয়।
অনুসন্ধানে জানাযায়, পুর্বরাজ মাহবুবুল আম্বিয়া চৌধুরী মেমোরিয়াল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিদুর রহমান পুরাতন শিক্ষক রেখে নতুন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে এসব জাল-জালিয়াতি করে এমপিও ভুক্তির জন্য ভূয়া কাগজপত্র দাখিল করেছেন। জালিয়াতি করে নিয়োগ ও আবেদন প্রক্রিয়াকরণে মোটা অংকের টাকা লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। প্রধান শিক্ষক সহিদুর রহমান এই জালিয়াতির নায়ক বলছেন অনেকেই।
জৈন্তাপুর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এর সেক্রেটারি শামিম আহমদ বলেন, অভিযুক্ত সহিদুর রহমান ২০১৪সালে জৈন্তাপুর পুর্বরাজ মহবুবুল আম্বিয়া মেমোরিয়াল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যালয় সভাপতি মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্টানে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু তিনি এমপিও ভুক্তির আওতায় আসার জন্য ২০১৪সালের আগের ভূয়া নিয়োগ বানিয়ে তা প্রোয়জনীয় কাগজপত্রে উল্ল্যেখ করেন। প্রতিষ্টান কর্তৃপক্ষ বলছে ২০১৪সালের আগে সহিদুর রহমানকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এই প্রতিষ্টানে যোগদানের পর থেকে তিনি বিভিন্নভাবে অনিয়ত দুর্নীতি করে আসছেন। অত্র বিদ্যালয় ২০১৯সালে এমপিও ভুক্তির আওতায় আসার পর বিদ্যালয়ের পুর্বের শিক্ষকদের রেখে নতুন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে এমপিও ভুক্তির জন্য ভূয়া কাগজপত্র দাখিল করেছেন তিনি।
অভিযোগের ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক সহিদুর রহমান এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে মোবাইল বন্ধ করে দেন।
জৈন্তাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন এবিষয়ে আমি কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd